—প্রতীকী চিত্র।
শবেবরাত এবং করম পুজোয় আগে সেকশনাল হলিডে ছিল। ৩ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দুই ছুটিও সার্বিক ভাবে ঘোষণা করেন। বাম আমলে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত ২০১১ সালের সাধারণ ছুটির বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মোট ছুটি ছিল সতেরো দিন। সঙ্গে চারটি সেকশনাল হলিডে। কিন্তু এখন ক্যালেন্ডারের ছুটির কোনও মূল্য নেই। পূর্বে যে উৎসবগুলিতে ছুটি থাকত না, বর্তমানে সেগুলিকেও ছুটির তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন, ইংরেজি নববর্ষ থেকে হোলি, শিবরাত্রি থেকে বিশ্বকর্মা (অর্ধ)। দুর্গাপুজোর পঞ্চমী থেকে লক্ষ্মী, কালীপুজোর বিসর্জন পরবর্তী প্রতিপদ থেকে ভাইফোঁটা, জামাইষষ্ঠী, বুদ্ধপূর্ণিমা— সব। পুলিশদের ভাল কাজের জন্য ইনাম হিসাবে ছুটি। এমনকি বিরোধীদের বন্ধ রুখতেও উপস্থিত কর্মীদের পরবর্তী এক দিন ছুটি। নিন্দুকেরা বলে, বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা এত ছুটি পান যে হিসাব রাখাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে, অনেক সময় সরকারি কাজের জন্য দফতরে গিয়ে তালা বন্ধ দেখে ফিরে আসতে হয়। অন্য দিকে, রাজ্য কর্মীরা মনে করেন, এই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে শেষ স্থানাধিকারী হলেও ছুটি প্রদানে প্রথম। তবে এর মধ্যে কৌশল আছে। সরকারি দফতর বন্ধ থাকলে অপচয়-সহ দফতরগুলির প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বাঁচে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই যত ছুটি, তত সঞ্চয়। অপর দিকে, সরকারি কর্মচারীদের নির্দিষ্ট নিয়মে ডিএ না দিয়ে ছুটি দিয়ে তাঁদের সন্তুষ্ট রাখার এটা একটা প্রচেষ্টা বলেই মনে হয়।
বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে বিধানসভায় ‘জন অধিকার সুরক্ষা বিল ২০১৩’ পাশ করে তা আইনে পরিণত করেছে। তাতে বলা আছে, নির্ধারিত সময়ে জনসাধারণকে নির্দিষ্ট পরিষেবা দিতে না পারলে সরকারি কর্মচারীদের শাস্তি পেতে হবে। শাস্তি হিসাবে কর্মীদের ২৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা-সহ তা তাঁদের সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধও করা হবে বলে আদেশনামা প্রকাশিত হয়। সরকারের এ-হেন উদ্যোগকে জনসাধারণ অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। এত ছুটির পর নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি কর্মীরা জনসাধারণকে পরিষেবা দেবেন কী ভাবে? তাই এত ছুটির আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি।
মলয় মুখোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক, কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ় (আইএনটিইউসি)
পার্কিং সমস্যা
বালিগঞ্জ প্লেস অঞ্চলে থাকি। এই এলাকায় একটি নামী স্কুল আছে। রোজ এখানে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বিশেষত গাড়ি, পুলকার, স্কুলবাস চলাচল করে। পুলিশ এই যানবাহন সামলাতে গিয়ে কয়েকটি রাস্তা থেকে বেশ কয়েক বার পাড়ার গাড়িগুলোকেই উৎখাত করেছে। যদিও এ রাস্তাগুলিতে ফি পার্কিং-এর ব্যবস্থা আছে। এবং পাড়ার গাড়িগুলোকে আমরা যথাযথ পার্কিং ফি দিয়েই রাখি। কিন্তু স্কুলের গাড়িগুলি যখন আসে, তখন আমাদের গাড়িগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার পুলিশি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হতে হয়। শহরে অন্যান্য অঞ্চলে অনেক নামকরা স্কুলের ক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশের তরফে এমন পদক্ষেপ করা হয় না।
এই প্রসঙ্গে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছে আবেদন, তাঁরা কি স্কুল থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে গাড়ি থেকে ছাত্রছাত্রীদের নামিয়ে দিতে পারেন না? আমার বিশ্বাস, তারা এইটুকু পথ স্বচ্ছন্দে হেঁটে স্কুলে পৌঁছে যেতে পারবে। এই আবেদন মঞ্জুর হলে সরকারকে পুলিশ নিয়োগ করতে হয় না এবং এলাকাবাসীরাও এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়। পার্কিং ফি বাবদ উপার্জনও যথাযথ হয়।
কালীশঙ্কর অধিকারী, কলকাতা-২৫
সুরক্ষা বিফলে
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রীর (ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক মন্ত্রীর, ২৬-৭) ওই বিভাগের কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং একটি শুভ উদ্যোগ। কলকাতার এমন আদালতে চিকিৎসা বিভ্রাট সংক্রান্ত একটি মামলা গত দশ বছর ধরে যুঝে আমি বিধ্বস্ত। আইনত এই সব মামলা নব্বই থেকে দেড়শো দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। অভিযুক্তদের মামলা দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা তো স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁদের প্রশ্রয় দেওয়া হলে সুযোগের সদ্ব্যবহার তো করবেনই। এই দশ বছরে আমাদের মামলার যতগুলি (প্রায় পঁয়তাল্লিশ) দিন ধার্য হয়েছে, তার মধ্যে দু’বার আদালত কক্ষ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং অসংখ্য বার বিচারক পরিবর্তন হয়েছেন।
এই ভাবে চলার পর চুয়াল্লিশতম দিনে যখন উভয় তরফের যুক্তিতর্কের পরে মামলাটি নিষ্পত্তির দিকে যাচ্ছিল, তখনই পঁয়তাল্লিশতম দিনে সেটা একটি ভিন্ন আদালত কক্ষে স্থানান্তরিত করা হল। সেই আদালতের মাননীয় বিচারপতির অধীনে অত্যধিক বিচারাধীন মামলা থাকার কারণে পরবর্তী দিন দু’-তিন মাসের পরিবর্তে ন’মাস পর ধার্য করা হল। যে মামলা সর্বোচ্চ দেড়শো দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা, তা এক ধাক্কায় প্রায় দু’শো সত্তর দিন পিছিয়ে গেল। আমার মতো এক জন অশীতিপর বৃদ্ধ এবং মৃত একমাত্র সন্তানের পিতা হিসাবে এই অসম লড়াইটি কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে এমন সিদ্ধান্তের ফলে। ক্রেতা সুরক্ষা কোর্টের জাতীয় সংস্থায় এই বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করায় তারা জানাল যে, কোনও বিচারাধীন মামলায় তাদের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আমাকে স্থানীয় আদালতে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তদনুসারে আমি স্থানীয় আদালতে মামলার তারিখ এগিয়ে আনার অনুরোধ করে চিঠি দিই। মাসাধিক কাল অপেক্ষা করে কোনও উত্তর না পেয়ে ওখানে গিয়ে তাদের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করি। উনি এ রকম কোনও চিঠি পাননি বলে জানান। আমি স্পিড পোস্টে প্রাপ্তির প্রমাণ দেখানোর পর খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, চিঠি যেখানে জমা পড়েছিল, সেখানেই গত এক মাস চার দিন যাবৎ ছিল। বোঝা যায়, সংস্থাটির সর্ব স্তরে অব্যবস্থা কতখানি। সারা দেশে ছ’শোর বেশি এই ধরনের আদালত চলছে বলে শুনেছি। সিভিল কোর্টের বিকল্প হিসাবে এদের সৃষ্টি। বলা বাহুল্য, এই প্রচেষ্টা অনেকাংশেই বিফলে গেছে।
সুব্রত দত্ত চৌধুরী, কলকাতা-৫৫
নতুন বাসরুট
হাওড়া-আমতা রোডে মূলত জাপানি গেট বা বালিটিকুরী থেকে শানপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে কলকাতায় আসার কোনও বাস পরিষেবা নেই। একটাই মাত্র বাসরুট বাঁকড়া-পার্ক সার্কাসের বাস, যা হাওড়া রবীন্দ্র সেতু দিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় লাগে কলকাতা পৌঁছতে। এই রাস্তায় দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ হয়ে কলকাতাগামী নতুন একটি বাস রুট হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে।
তন্ময় চক্রবর্তী, বালিটিকুরী, হাওড়া
কমপোস্ট চাই
বারুইপুর স্টেশনের কাছেই একটি স্কুল সংলগ্ন খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশের বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষের সমস্যা হয়। নানা রকম রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। বারুইপুর পুরসভা বহু পুরনো ও সুনামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন পরিচালিত হচ্ছে। ওই জায়গায় যদি কমপোস্টের ব্যবস্থা করা যায়, তবে স্থানীয়রা দুর্গন্ধের হাত থেকে বাঁচেন।
আশিস ভট্টাচার্য, বারুইপুর পশ্চিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা