Coronavirus Lockdown

বয়ে যাচ্ছে নায়াগ্রার জল, নেই পর্যটকদের ভিড়

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫৯
Share:

নায়াগ্রা ফলসের সামনে নেই পর্যটকদের ভিড়। ছবি: এপি।

নায়াগ্রা অঞ্চলের মধ্যে সেন্ট ক্যাথেরিন সব থেকে বড় শহর। নায়াগ্রা ফলস থেকে এই শহরটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। কানাডার অন্যান্য ছোট শহরগুলির মতই শান্ত। প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজারের মত জনসংখ্যা।

Advertisement

শহরটির পরিচিতি ‘গার্ডেন সিটি’ হিসাবে। বিশেষ ভাবে চেরি, পিয়ার, আপেল, এ্যাপ্রিকট, পিচ ও সর্বোপরি আঙুরের চাষ প্রসিদ্ধ। নায়াগ্রার বিশ্বখ্যাত আইস ওয়াইনের বেশির ভাগ উৎপাদন স্থল এই শহরের গ্রামীণ অঞ্চলগুলো। বিশেষত আঙুর বাগানের সংলগ্ন এলাকায় তা হয়।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা শুরু হয়ে যায় মেক্সিকো, গায়না, জামাইকা ইত্যাদি দেশ থেকে। পুরো শহর কোলাহলে মেতে ওঠে টানা সাত-আট মাস শীতের কবল থেকে মুক্তির আনন্দে। গরমকাল আসছে বলে সব স্কুল ছুটির অপেক্ষায় থাকে। লম্বা ছুটি, আমাদের দেশের মত এক মাসের গরমের ছুটি নয়, একেবারে তিন মাসের ছুটি। কিন্তু এ বারে সবই আলাদা, সেই ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে ছুটি পড়েছে। ইস্টারও চলে গেল বাড়ীর মধ্যে কাটিয়ে। ইস্টার এগ ও হান্ট হল বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে।

Advertisement

ড্যাফোডিল ফুটতে শুরু করেছে। টিউলিপের কুঁড়ি এসে গেছে। আগামী সপ্তাহে ফুলের দেখা পাওয়া যাবে। প্রকৃতি তার নিয়মে অনান্য বছরের মত ঋতু পরিবর্তনের সব সংকেত নিয়ে উপস্থিত। কিন্তু সবার মাঝে অনুপস্থিত শুধু মানুষ। নায়াগ্রার কাছে-পিঠের পার্কগুলোতে মনের আনন্দে হরিণ বিচরণ করছে।

আরও পড়ুন: ধূসর আজ ছবির শহর, লকডাউনের মেয়াদ বাড়াল ফ্রান্স

আরও পড়ুন: ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, পৃথিবী যেন ফের স্বাভাবিক হয়

পাশের রাষ্ট্রে প্রতি দিন অগুন্তি মানুষের মৃত্যু-মিছিল। আমাদের এখানেও রুগির সংখ্যা রোজ বেড়ে চলেছে। তবুও এখনও তা আয়ত্তের মধ্যে। জানি না কাল কী হবে? প্রতি দিন সকাল সাড়ে এগারটার সময় প্রধানমন্ত্রী আপডেট দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের মনে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন। যোগ্য নায়কের ভূমিকা পালন করছেন তিনি।

নায়াগ্রার ওপারেই নিউ ইয়র্ক স্টেটের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর বাফেলো। এখান থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি, মানুষ, মাল পরিবহনের ট্রাক পারাপার করে। কী সাংঘাতিক ব্যস্ততা থাকে সব সময়। এক পলকে এখন তা খাঁ-খাঁ করছে।

নায়াগ্রার ধারে টেবিল রক সেন্টারে তিল ধারণের জায়গা থাকে না, এখন কী এক জাদুতে তা জনমানব শূন্য। কিন্তু প্রতি দিনের মতোই নায়াগ্রার জল অবিরত ধারায় বয়ে চলেছে। এখন অপেক্ষা অতিমারির শেষ হওয়ার। তবেই আবার নায়াগ্রার মনমোহিনী রূপ দেখার জন্য দর্শক সমাগম ঘটবে। অতিমারির শেষ যেন অতি দ্রুত সমগ্র বিশ্ব দেখতে পায়।

বিশ্বজিৎ মুখার্জি, সেন্ট ক্যাথেরিন, নায়াগ্রা রিজিওন, ওন্টারিও

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement