ঘর থেকে দূরে ঘরবন্দি। ছবি: এপি।
দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের বাঁচাতে পারে
জার্মানির গটিনজেন শহরে থাকি। গত দু’বছর ধরে গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অজৈব রসায়ন বিভাগে পোস্ট ডক্টরেট গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের পড়ুয়ারা রয়েছেন। আমাদের শহরে গটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও অনেকগুলো গবেষণা সংস্থা রয়েছে। চাইনিজ নিউ ইয়ারের শেষে যেসব চিন থেকে যে সমস্ত পড়ুয়ারা ফিরে এসেছিলেন, তাঁদের সবাইকে ১৪ দিন ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। সকলের মধ্যে তখন করোনা ভাইরাস নিয়ে চাপা উদ্বেগ কাজ করছিল। আমার সঙ্গে চিন থেকে আসা দু’জন পিএইচডি পড়ুয়া কাজ করেন। ওঁরা যদিও চাইনিজ নিউ ইয়ারে এখানেই ছিলেন। দেখতাম, সারা ক্ষণ সে দেশের ওয়েবসাইট খুলে ভাইরাসের রিপোর্ট দেখতেন ওঁরা। ১৬ মার্চ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আমরা বাড়িতে বসেই পেপার লিখছি। মাঝে মধ্যে ল্যাবে গিয়ে দেখে আসছি, সবকিছু ঠিক আছে কিনা। এখানে অনেক ল্যাবেই করোনা নিয়ে গবেষণা চলছে। হাসপাতালগুলিতেও অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এখানে প্রাণহানি কম হচ্ছে। সুপার মার্কেট খোলা থাকায় সকলে কেনাকাটা করছেন, তবে দূরত্ব বজায় রেখেই। এখনও পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধন না বেরনোয় সবকিছুই এখন দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নির্ভর করছে। যাঁরা কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের রক্তরস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলছে, যাতে কার্যকরী অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করা যায়। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিভার্সিটি ফর ইনফেকশন বায়োলজির স্টিফান এইচ ই কউফম্যান এবং তাঁর গবেষণা দলের আবিষ্কৃত ভিপিএম-১০০২ যা মূলত যক্ষ্মার প্রতিষেধক হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল, সেচি করোনার বিরুদ্ধএ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডি়য়ে দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে সেটি এখন ট্রায়ালে রয়েছে। এই মুহূর্তে দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের করোনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই বাড়িতে থেকে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলাই এখন উচিত সকলের।
সমীরকুমার সরকার
পোস্ট ডক্টরেট গবেষক, এইচডব্লিউ রোয়েস্কিস ল্যাবরেটরি
ইনস্টিটিউট অব ইনঅর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি
ইউনিভার্সিটি অব গটিনজেন
বাড়ি যেতে চাই
আদতে বাঁকুড়ার গৌরবাজারের বাসিন্দা। এই মুহূর্তে পুণেতে একটি হোটেলে কাজ করি। লকডাউনের জন্য বাড়িতে যেতে পারিনি। এখানে খাওয়া-দাওয়ার খুব অসুবিধা হচ্ছে। লকডাউন আরও বাড়লে বিপদে পড়ে যাব। আমার সঙ্গে আরও তিন জন বাঙালি রয়েছেন। আমরা বাড়ি যেতে চাই। দয়া করে সাহায্য করুন।
তুফান গোস্বামী
ইমেল: tufangoswami105@gmail.com
হাতে টাকা-পয়সা নেই
২২ মার্চ থেকে আমরা চার জন সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের একটি হোটেলে আটকে রয়েছি। আমাদের সঙ্গে ৭৬ ও ৭৪ বছর বয়সী দুই ব্যক্তিও রয়েছেন। আরও কিছু দিন এখানে থাকতে হতে পারে। কিন্তু আমাদের হাতে টাকা নেই। আমাদের বাড়ি চুঁচুড়ায়। আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
উদয় দত্ত
মোবাইল: ৯৪৩৩৭৮১৪১৪
সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে, আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমার মায়ের প্রাণ বাঁচানোর আবেদন করছি।নিম্নলিখিত আবেদনটি প্রকাশ করে, দয়াকরে আমার মায়ের প্রাণ বাঁচাতে আমাকে সাহায্য করুন।
"আমার মা শ্রীমতী সুপ্রিয়া পাল দমদম নাগেরবাজার অঞ্চলের বাসিন্দা, দেড়মাস আগে তিনি হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, নিকটস্থ আই.এল.এস হাসপাতালে নিয়ে গেলে, জানতে পারি তিনি ব্রেন টিউমার ও হার্ট ব্লক অসুখে আক্রান্ত। তারপর থেকেই তিনি ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এক মাস পূর্বেই তার হার্ট ও ব্রেনের জরুরীভিত্তিক সার্জারির জন্যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই ব্যায়বহুল চিকিৎসা আমাদের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় আমি, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম সাহায্যের আশায় ।
আমাদের আবেদনে সারাদিয়ে, সবদিক খতিয়ে দেখে, প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজ্যপাল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে আর্জি জানিয়েছিলেন এ রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে।
কিন্তু মন্ত্রী বা রাজ্যপালের করা আবেদনকে এখনো পর্যন্ত কোনোরূপ গুরুত্বই দেয়নি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর কিংবা রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
বর্তমানে এই লক ডাউনের মধ্যেই, অর্থ ও ওষুধের অভাবে আমার মা শ্রীমতী সুপ্রিয়া পালের চিকিৎসা প্রায় বন্ধের সম্মুখীন। আমরা সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় এখনো তাকিয়ে রয়েছি সরকারী সাহায্য ও ব্যাবস্থাপনার দিকে।
জরুরী ভিত্তিক সার্জারি না হওয়ার ফলে আমাদের চোখের সামনে আমার মা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছেন মৃত্যুমুখে। তার বর্তমান মৃত্যু যন্ত্রনা যে কি ভয়ঙ্কর, সেটা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
বর্তমান করোনা উদ্ভত পরিস্থিতিতে, একটাই প্রশ্ন ঘুরছে মনের মধ্যে, যে করোনা আক্রান্ত ব্যাতিত অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের কি বিনা চিকিৎসায় কিংবা বিনা অপারেশনে মৃত্যু বরণ করতে হবে?
এমুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মানবিকতা কি শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের মধ্যেই সীমিত? তাহলে আমার মা কি পরোক্ষ ভাবে করোনা পরিস্থিতির কারণেই সরকারী অবহেলায়, বিনা চিকিৎসায় মরনের পথে যাত্রা করছেন I"
সঞ্জীব পাল
অকারণে বাইরে বেরনো বন্ধ করতে চালু হোক কুপন
বাজার দোকান তো করতেই হবে, নইলে না খেয়ে থাকতে হবে। রোগী, শিশু এবং প্রবীণদের জরুরি ওষুধও দরকার। কিন্তু সমস্যা হল, বাজার কিছু ক্ষণের জন্যই খুলছে। আর খোলামাত্রই সেখানে মারাত্মক রকমের ভিড় জমছে। দূরত্ব আর বজায় থাকছে না। এই ছোঁয়াছুঁয়ি রুখতে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ কুপনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, ওষুধ কেনার জন্য সপ্তাহে দু’টি লাল কুপন দেওয়া যেতে পারে। এই কুপন নিয়ে শুধুমাত্র ওষুধের দোকানেই যাওয়া যেতে পারে। অন্য কোথাও গেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে আপৎকালীন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। সবজি, মাছ-মাংস কিনতে সবুজ কুপন নিয়ে বাজারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনটির বেশি কুপন দেওয়া চলবে না। বাজারে ঢোকার মুখে পুলিশ অথবা বাজার কমিটির লোকজন কুপনটি যাচাই করে নেবেন। কোনও আবদারেই কান দেওয়া চলবে না। বাজারে ঢোকার একাধিক রাস্তা থাকলে, তা-ও বন্ধ করে দিতে হবে। ওষুধ বা বাজার ছাড়া জরুরি কাজকর্মের জন্য সপ্তাহে তিনটি হলুদ কুপন দেওয়া যেতে পারে। প্রতিবন্ধি, শিশু ও প্রবীণ অথবা তাঁদের সেবায় নিযুক্ত লোকজন নীল কুপন নিয়ে বেরোতে পারেন। তাঁদের সপ্তাহে চারটি কুপন দেওয়া যেতে পারে।
প্রত্যেকটি কুপনে নির্দিষ্ট সময় সীমার উল্লেখ থাকলে ভাল। সেগুলি বইয়ের আকারে হাতে তুলে দেওয়ার সময় প্রত্যেক পরিবারকে দিয়ে সই করিয়ে নিতে হবে। তাঁদের আধার নম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় জমা করাও যেতে পারে। আশাকর্মীরা এই কাজ সামলাতে পারেন। কুপন না নিয়ে বাইরে বেরোলেই লকডাউন লঙ্ঘনকারীকে গ্রেফতার করুক পুলিশ। আশাকরি এতে রোজ রোজ আকারণে বাইরে বেরনো কমবে। ভিড় কমবে বাজারঘাটেও।
শ্যামসুন্দর কর
কলকাতা-৭০০০২৮
লকডাউনে আটকে পড়েছি
কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকি। লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছি। বাবা-মা হাওড়ায় থাকেন। খুব চিন্তায় রয়েছি। যে কোনও মূল্যে বাড়ি ফিরতে চাই।
সায়ন রায়
মেবাইল: 8860960302
ইমেল: sayanroy1994@gmail.com
স্ত্রী-সন্তান দুশ্চিন্তায় রয়েছে
উত্তরবঙ্গে এসে আটকে গিয়েছি। বাবা-মা কুচবিহার থাকেন। আমি কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকি। বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ আমি একাই বাড়ি চলে আসি। বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেখানে ২৩ মার্চ পর্যন্ত চিকিৎসা চলে। ভেবেছিলাম, দু’দিন থেকে বাবার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে দেখে কলকাতা ফিরে যাব। কিন্তু লকডাউনের জেরে বেরোতে পারছি না। কলকাতায় আমার স্ত্রী ও চার বছরের সন্তান আছে। ওরা খুব দুশ্চিন্তা করছে। বাচ্চাটা আমার জন্য কান্নাকাটি করছে। আজ ২১ দিন কেটে গেল কলকাতা যেতে পারছি না। খুব চিন্তায় রয়েছি। প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাইছি।
রাজু পাল
মোবাইল: ৯০০৭৭৭৪২১০
ইমেল: raju4mbesu@gmail.com
টাকা-পয়সা সব শেষ
গত ১৫ মার্চ ভেলোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। ২৩ মার্চের রিটার্ন টিকিট ছিল। এখানে আমরা ১৫ জন রয়েছি। দু’টো বাচ্চাও রয়েছে আমাদের সঙ্গে। টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
তুষার কান্তি রায়, জগন্নাথ মিশ্র
ইমেল: tusharkanturoy@gmail.com
আটকে পড়েছি নানদেড়ে
আমরা নানদেড়ে আটকে রয়েছি। ফেরার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। আমাদের বাড়ি আসানসোল।
ইমেল: sshibsankar.ghosh@gmail.com
বাড়ি ফিরতে চাই, কমপক্ষে ৫ দিন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক
হায়দরাবাদে অস্ত্রোপচার করাতে এসে আমরা পাঁচ জন আটকে গিয়েছি। ১৫ এপ্রিল বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে। এর পরও যদি লকডাউন থাকে, তাহলে খুব সমস্যা হয়ে যাবে। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমারা যারা আটকে রয়েছি, তাদের ফেরার জন্য কমপক্ষে ৫ দিন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হোক। সরকারের উচিত এটা ভেবে দেখা।
রিজওয়ান পারভেজ।
মোবাইল: ৯৭৭৫১২৬২২৬
ইমেল: rizowanparvej@gmail.com
বাড়িতে মা একা রয়েছেন
বাবার চিকিৎসার জন্য আমি বেঙ্গালুরু এসেছি। আমার বাড়ি আলিপুরদুয়ারে। আমার মা বাড়িতে একা রয়েছেন। লকডাউনের জেরে আমরা এখানে আটকে গিয়েছি। দয়া করে কিছু পদক্ষেপ করুন, যাতে আমরা বাড়িতে ফিরে যেতে পারি।
শুভদীপ সাহা
মোবাইল: ৭৬৭৯৭১০২৬৭
ইমেল: saha.subhadeep29@gmail.com
চেন্নাইয়ে হোটেলবন্দি পরিবার
আমি বীরভূমের লাভপুর থানার জামনা গ্রামের বাসিন্দা। আমার ভাই ও বৌমা গত ২১ মার্চ থেকে চেন্নাইয়ে হোটেলবন্দি। ভাইয়ের হার্ট অকেজো। দু’বার পেসমেকার পাল্টানো হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে। এই মুহূর্তে ওঁরা গ্রেমস রোডের একটি হোটেলে অতি কষ্টে রয়েছেন। ওদের দু’ই ছেলেমেয়ে ও আমার কাকিমা আমাদের এক বোনের কাছে দুর্গাপুরে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি, ওঁদের ফেরার ব্যবস্থা করুন।
সুশান্ত ভট্টাচার্য
ইমেল: swapnadip9504@gmail.com
কাজ নেই, টাকা শেষ
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে ৩০ জন শ্রমিক মিলে কেরলে কাজে এসেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের জন্য কাজ নেই। টাকা যা ছিল শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই, ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হলে মাদের মুর্শিদাবাদ ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এখানে আমরা খুব কষ্টে রয়েছি।
ইয়ামিন শেখ
ইমেল: yeaminsk7718100098@gmail.com
খাবার পাচ্ছি না
নদিয়া জেলার অন্তর্গত দিগনগর থানা এলাকার বাসিন্দা আমি। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকি। এই মুহূর্তে কর্নাটক রুরাল ডিস্ট্রিক্টের আন্নে পলিয়া এলাকায় আমরা ৮ জন আটকে রয়েছি। আমি খুব উদ্বেগে রয়েছি কারণ আমাদের কাছে খাবার কিছু নেই। কোথাও থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের বাড়ি ফেরার একটা ব্যবস্থা করুন। শুরু থেকে লকডাউন মেনে চলেছি, ভবিষ্যতেও মানব। কিন্তু ১৪ এপ্রিলের পর দয়াকরে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন।
তাপস দেবনাথ
মোবাইল: ৭৮২৯৮২২৫৯৮
ইমেল: tapasdebnath200@gmail.com
ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে এসে আটকে পড়েছি
মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গত ১৭ মার্চ কলকাতা থেকে মুম্বই এসেছি। কিছুটা হয়েছে। বাকি চিকিৎসা কলকাতাতেই করাতে বলেছেন চিকিৎসকরা। জানিয়েছেন, মুম্বইতে যা অবস্থা, তাতে বাকি চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের কলকাতা পৌঁছনো ভীষণ দরকার। ট্রেন চলবে কি না বুঝতে পারছি না। ক্যানসারের চিকিৎসা কতটা প্রয়োজন তা আমরা সকলেই জানি। খুব বাজে ভাবে আটকে গিয়েছি। আমাদের কলকাতা ফিরতে সাহায্য করুন।
পায়েল দে
ইমেল: payeldey411@gmail.com
অস্ত্রোপচারের টাকা জোগাড় করতে বাড়ি ফিরতে চাই
বাবার হার্টের সমস্যা। দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছিলাম। অবিলম্বে পেসমেকার পাল্টাতে হবে। তার জন্য টাকা জোগাড় করতে কলকাতা পৌঁছনো দরকার আমার। কিন্তু লকডাইনের জেরে আটকে রয়েছি। দিল্লি স্টেশনের কাছে পাহাড়গঞ্জ এলাকায় চেতক হোটেলের ১৭ নম্বর ঘরে রয়েছি। কিছু একটা করুন। বাড়ি ফিরতেই হবে আমাকে। বাবাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সম্রাট ভট্টাচার্য
মোবাইল: ৯১৬৩১২৫৩২২
ইমেল: rvanuradha05@gmail.com
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)