যে-ভাষা দিয়েছে লেখা, তাকে যদি ভুলে যেতে বলো,
উত্তরে, হ্যাঁ, সে-ভাষাই জানাবে যে রাজি নয় মন
আমার অক্ষরবোধে রোদ জাগে, নুয়ে আসে জলও...
কী করে বা ভুলে যাব, এ-ভাষায় ছিলেন লালন!
তারই তো সময় বইছে এ-ভাষার শিরায় শিরায়
যে-শিরাকে নদী ভেবে ভেসে যেতে চেয়েছি আমিও
নৌকা ছোট হতে পারে, কিন্তু তা ফিরেছে বাংলায়
এ-বাতাসে শ্বাস টানব, এইটুকু অধিকার দিও!
আমারই শব্দের ডাকে ছুটে আসবে কাঠবেড়ালি, দেখো,
সে আমারই বর্ণমালা, যাকে দেখে জেগেছে হরিণ...
প্রতিবাদ যত থাক, পাশে আছে প্রেমের উল্লেখও
এ-বাংলার ঘুম ছাড়া ভাঙে না আমার কোনও দিন।
যে-ভাষা দিয়েছে স্বপ্ন, তাকে যদি ভেঙে দিতে বলো
উত্তরে, হ্যাঁ, সে ভাষাই বোঝাবে সে অরাজি কতটা।
দেখেছ কেবল চোখে, তাই ভাবছ জল ছলোছলো।
কান্না যদি খুলে দিই, সে নিমেষে হবে খরস্রোতা!
তখন কোথায় ভাসবে তোমার এই রাজসিংহাসন?
কখনও ভুলো না যেন, এ-ভাষায় ছিলেন লালন!
অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস