টোলপ্লাজায় সমীক্ষা সেনার। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরে। —ফাইল চিত্র
সেনাবাহিনী তথা সেনার গতিবিধিকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাপ্রবাহ দেখা গেল, সংশয় নেই তা বেশ অস্বাস্থ্যকর। আমাদের দেশে এক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দোহাইও রয়েছে। সাংবিধানিক সেই কাঠামো রক্ষার ভার যাঁদের কাঁধে, তাঁরা জনগণের কাছেই দায়বদ্ধ। কিন্তু সে দায়বদ্ধতার পরিচয় মিলল না। অধিকার এবং দায়িত্ববোধের সীমারেখা যে ভাবে লঙ্ঘিত হল, তা কার স্বার্থে? এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে কোথাও কি জনসাধারণের কল্যাণের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নিহিত ছিল? উত্তর খুঁজছেন নাগরিকরা।
ভারতের সংবিধান ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোটাকে অত্যস্ত স্বচ্ছতার সঙ্গেই চিহ্নিত করে দিয়েছে। এ কাঠামোয় কোন অংশীদারের অধিকার, কর্তব্য, দায়িত্ব এবং বাধ্যবাধকতা কতটা, তা সুস্পষ্ট লক্ষ্ণণরেখা দ্বারা চিত্রিত। কিন্তু সাংবিধানিক কাঠামোর দোহাই দিয়েই সে লক্ষ্ণণরেখাকে বার বার অস্পষ্ট করে তোলার চেষ্টা হয়েছে— অতীতেও হয়েছে, এখনও হয়। এতে কিন্তু কারও কল্যাণ নেই। সংবিধান নির্দিষ্ট পথে শাসনযন্ত্র ততক্ষণই সচল থাকতে পারে, যতক্ষণ তার সব অংশ উপযুক্ত পরিসরে এবং গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করে। এ রাষ্ট্রের সব অংশীদারই সেই বন্দোবস্ত মেনে চলতে সমগ্র ভারতের কাছে দায়বদ্ধ। তার পরিবর্তে ঘুরপথে সীমা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা যখন হয়, তখন সে প্রচেষ্টার মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং কর্তব্যচ্যূতির লক্ষণই পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।
এ লক্ষণ শুভ নয়। দায়বদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে কিন্তু সতর্ক হতেই হবে। অন্যথায় সাংবিধানিক কাঠামোর উপর সঙ্কট নেমে আসতে পারে।