দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের সময় বরোদার সঙ্গে বারাণসী কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯-এর ভোটের সময় জল্পনা ছিল, মোদী বারাণসীর সঙ্গে পুরীর মতো পূর্ব ভারতের কোনও আসন থেকে লড়বেন। শেষ পর্যন্ত শুধু বারাণসী থেকেই লড়েছিলেন। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে জল্পনা, মোদী বারাণসীর সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের কোনও আসন থেকে ভোটে লড়বেন। এতে দাক্ষিণাত্যে বিজেপি চাঙ্গা হতে পারে। তামিলনাড়ু থেকে সেঙ্গোল নিয়ে এসে নতুন সংসদে প্রতিষ্ঠার পরে সেই জল্পনা বেড়েছে। রামনাথপুরম লোকসভা কেন্দ্র জল্পনায় উঠে এসেছে। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই হিন্দু তীর্থক্ষেত্র রামেশ্বরম অবস্থিত। কেন্দ্রটি আবার কেরল লাগোয়া। রাহুল গান্ধী যে রাজ্যের সাংসদ ছিলেন। জল্পনা সত্যি করে নরেন্দ্র মোদী কি উত্তর থেকে বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে দক্ষিণ ভারতে ভোটে লড়তে যাবেন! বিজেপি নেতারা স্পিকটি নট!
এক ঢিলে...
নিজের রাজ্য হিমাচলপ্রদেশে দলের হারের পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমলের ছেলে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মন্ত্রিসভায় থাকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন অনুরাগ। মানালি-লে হাইওয়েতে নলকূপ দেখে, তা পাম্প করে স্থানীয় ব্যক্তিকে জল খাওয়ান ও খান। সেই ভিডিয়ো টুইট করে লিখেছেন, ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় মিঠা জল খাওয়ার অন্য স্বাদ। নিন্দুকেরা বলছেন, জল খাওয়া হল, আবার সুনজরে থাকতে ‘হর ঘর জল’ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারও সেরে নেওয়া গেল!
নারদ নারদ
এক জন বলছেন, “উনি চিৎকার করছেন। আমার গলায় এত জোর নেই।” অন্য জন বলছেন, “উনি বার বার প্রমাণ করেন যে, সলিসিটর জেনারেল পদের যোগ্যই নন।” সুপ্রিম কোর্টে প্রায়ই কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভের বাগ্বিতণ্ডা বাধে। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ নিয়ে মামলায় তা চরমে। তাঁদের থামাতে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা অনুরোধ করলেন, পরস্পরের প্রতি এত ভালবাসা প্রকাশ্যে না দেখালেই ভাল। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ফুট কাটলেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে বুলডোজ়ার চালানো হয়েছিল ঠিকই। তবে আদালতে আসার সময় আইনজীবীরা বুলডোজ়ার বাইরে রেখে এলেই ভাল হয়। দাভে তার পরেও অনুযোগ করলেন, মেহতা তাঁকে ৪০ বছর চেনেন। জানেন, তাঁর গলার আওয়াজই চড়া। তা-ও প্রতি দিন চিৎকার করার অভিযোগ তোলেন!
প্রচার: বেঙ্গালুরুতে একটি রোড শো’য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
‘ওয়ার্ক ফ্রম প্রিজ়ন’?
প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসৌদিয়া। ফলে তাঁকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। অর্থ, শিক্ষার মতো দফতর অন্যকে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনও পূর্ব দিল্লির পটপড়গঞ্জের বিধায়ক। ভোটারদের কাছে প্রায়ই এসএমএস আসছে। আপনারা সবাই ঠিক আছেন? কোনও অসুবিধা নেই তো? দলের লোকেরা কাজকর্ম দেখাশোনা করছেন তো? অসুবিধা হলে সিসৌদিয়ার দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। একটি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করতেও বলা হচ্ছে। না, ওই মোবাইল জেলে বসে সিসৌদিয়া ব্যবহার করছেন না।
আমলার কলমে
বিদেশ মন্ত্রকের প্রাক্তন মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এবং নভতেজ সরনা ছাড়া বেশির ভাগ কেন্দ্রীয় আমলাই লেখেন নন-ফিকশন। রাষ্ট্রনীতি, ইতিহাস, বিদেশনীতি সংক্রান্ত গ্রন্থ। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের সচিব লীনা নন্দন লিখেছেন সন্ত্রাসকাহিনি। নাম, হু আর দিজ় পিপল? পটভূমি ২০১৪-র মুসৌরীতে আমলাদের পুর্নমিলন উৎসব। সেখানেই কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নাশকতার পরিকল্পনা করে। বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন জি ২০-র শেরপা অমিতাভ কান্ত। অপরাধ সংক্রান্ত থ্রিলার আগেও লিখেছেন লীনা। শহরে একাকী কর্মরত মহিলার জীবন নিয়ে সেই উপন্যাসের নাম টেন ডেজ়।
গুণী: আমলা ও লেখক লীনা নন্দন। —ফাইল চিত্র।
চিন্তা-বাক্স
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার নির্দেশে নির্মাণ ভবনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিটি তলায় বসেছে চিন্তা-বাক্স। উদ্দেশ্য, কর্মীরা ওই বাক্সে মন্ত্রকের উন্নতিকল্পে মতামত দেবেন। প্রতি সোমবার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী সে সব খুঁটিয়ে পড়ছেন, আলোচনা করছেন সহকর্মীদের সঙ্গে। সেরা ভাবনাগুলি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের পাঠাচ্ছেন মাণ্ডবিয়া। সার এবং রসায়ন মন্ত্রকেও চালু করেছেন এই ব্যবস্থা।