১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ভোল পাল্টাতে দু’লাখ পাউন্ডের বিল খাড়া করেছেন বরিস জনসনের বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডস। খরচ জোগাতে প্রধানমন্ত্রী টোরি দলের ধনী দাতাগোষ্ঠীর চ্যারিটিতে আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দান-তহবিলটি বিবৃতি দেবে যে, এতে ব্রিটিশ হস্তশিল্পের লাভ হবে। পূর্বসূরি টেরেসা মে-র মধ্যবিত্ত ধাঁচের জন লুইস ব্র্যান্ডের সোফা, পর্দাকে বিদায় করেছেন সাইমন্ডস। তাঁর পছন্দ অন্দরসজ্জাশিল্পী লুলু লাইটল। ঝলমলে রং, মিশরীয় শিল্প, ব্রিটিশ রীতির আসবাব, সাজসামগ্রী আর আলোর জন্য লুলু পরিচিত। বহু অভিজাত বুটিক হোটেলের অন্দর সাজায় তাঁর ব্র্যান্ড ‘শোন ব্রিটেন’। সাইমন্ডস নাকি সোনায় মোড়া ওয়ালপেপার বেছেছেন।
অন্দরসজ্জা বদল বাবদ প্রধানমন্ত্রীদের ত্রিশ হাজার পাউন্ড ভাতা বরাদ্দ, করদাতাদের টাকা থেকে। বাড়তি খরচ নিজের পকেটের। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে টোনি ব্লেয়ার বড় পরিবারের সুবিধার্থে বেছেছিলেন পাশের বাড়িটি— ১১ ডাউনিং স্ট্রিট। গর্ডন ব্রাউন ছিলেন নির্ঝঞ্ঝাট লোক। যা মিলেছে তাতেই সন্তুষ্ট। ডেভিড ও সামান্থা ক্যামেরনের আধুনিক ডেকর ছিল যেন ভোগ পত্রিকার পাতা। হলুদ সোফা, রান্নাঘরে চকচকে গ্রানাইটের ওয়র্কটপ, ইস্পাতের আভেন। তবে, জনসনদের মতো এত খরচ কেউই করেননি। জনসন বলেছেন, তাঁর বেতনের বড় অংশ প্রাক্তন স্ত্রী ও আগের সম্পর্কগুলির ছয় সন্তানের দেখভালেই চলে যায়। তাঁর বহুমূল্য গালিচা আর বাতিদানগুলির খরচ মেটাতে টোরি তহবিল রাজি হয় কি না, দেখা যাক।
ডানপিটে ডিলিন
জনসন ও সাইমন্ডসের কুকুর ডিলিন নাকি ডাউনিং স্ট্রিটের গালিচা নোংরা করে, রাজনীতিকদের হাতব্যাগে মূত্রত্যাগ করে! প্রধানমন্ত্রীর কান্ট্রি হাউস চেকার্সে গিয়ে পুরনো দিনের দামি আসবাব আর গালিচা চিবিয়েছে। সারাই, পুনর্নির্মাণের বিল ধরানো হয়েছিল জনসনকে। বাকিংহাম প্যালেসের বাগানে জনসনকে জনান্তিকে শরীরচর্চার অনুমতি দিয়েছিলেন রানি। ডিলিন সেখানেও কুকর্ম করে এসেছে। জনসনের গালিও খেয়েছে। বেচারার বোধ হয় ভাল প্রশিক্ষক প্রয়োজন।
বৈভব: ক্যারি সাইমন্ডসের প্রিয় ‘শোন ব্রিটেন’ ব্র্যান্ডের অন্দরসজ্জার নিদর্শন
মুম্বইয়ের মোগলি
রাডইয়ার্ড কিপলিংয়ের দ্য জাঙ্গল বুক-এর কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে আঁধার জগতে নিয়ে গিয়েছেন ভারতীয় লেখক আয়েশা মেনন। বেতারনাটকটি চলবে বিবিসি ৪-এ। গল্পে নেকড়েরা বস্তিবাসী খুচরো গুন্ডাদের দল। মুম্বইয়ের কংক্রিট জঙ্গলে অনাথ মোগলিকে বড় করছে। খল রাজনীতিবিদ টাইগার খান মোগলিকে মারতে চায়। বস্তিবাসী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ বাঘিরা ও ‘ভালু’ বালুর সাহায্যে পালায় মোগলি। মো (মোগলি) চরিত্রে নমিত দাস, টাইগার খানের ভূমিকায় রজিত কপূর।
প্রথম উড়ন্ত শিখ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল ফ্লায়িং কর্পস-এর প্রথম ভারতীয় বিমানচালক সুদর্শন শিখ হরদিত সিংহ মালিক। অক্সফোর্ডের এই ছাত্র পাগড়ির উপর পরার জন্য আলাদা হেলমেট তৈরি করিয়েছিলেন। ২০২৩-এ সাদাম্পটনে তাঁর ১৭ ফুটের মূর্তি বসছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও জাতিগত ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে যাঁরা দুই বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের সম্মানিত করবে স্মৃতিসৌধটি। সে সময় ‘ফ্লায়িং শিখ’ নামে পরিচিত মালিক বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের উপর দিয়ে বিমান উড়িয়েছেন। বিস্ময়কর ভাবে বেঁচেছিলেন জার্মান বিমানের গুলি থেকে। স্বাধীনতার পর নেহরু তাঁকে ফ্রান্স ও কানাডায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়েছেন ১২ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়, প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি। যুদ্ধে ছিলেন চার ভারতীয় বিমানচালক। তাঁদের মধ্যে ইন্দ্রলাল রায় ফ্রান্সে মারা যান। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফ্লায়িং ক্রস (মরণোত্তর) পান এই বাঙালি।
বীর: বিমানচালক হরদিত সিংহ মালিক
ঋষিবচন
ঋষি সুনক দুই স্কুলছাত্রকে বলছিলেন, তাঁর কোকের নেশা ছিল। অর্থমন্ত্রী কোকেনের কথা বলছেন ভেবে তাদের চক্ষুস্থির। ঋষি বোঝালেন, কোক মানে কোকাকোলা। ছোটবেলায় উল্টোপাল্টা খেতেন বলেই তাঁর দাঁতে সাত-সাতটা ফিলিং। শুনে ছাত্রেরা ভয়ে কাঠ! ঋষি থামার পাত্র নন। বললেন, তিনি মেক্সিকান কোকের ভক্ত ছিলেন। কারণ তাতে ফ্রুক্টোজ়ে ঠাসা ভুট্টার সিরাপের বদলে আখের চিনি থাকে। ছাত্রেরা তো পালাতে পারলে বাঁচে। কেন যে ঋষি স্কুল পরিদর্শনে যান!