কথায় বলে, মামা-ভাগ্নে যেখানে, বিপদ নেই সেখানে। রাহুল গাঁধী নিজের বাড়ি থেকে আন্তর্জালে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন। দেওয়ালে ফ্রেমবন্দি মাউন্ট এভারেস্ট। কার ক্যামেরায় তোলা? নেট-দুনিয়ায় জল্পনা। স্থপতি সিতু মহাজন কোহলি ঠিক আন্দাজ করে রাহুলের ভাগ্নে, প্রিয়ঙ্কা বঢরার ছেলে রেহানকে নেট-দুনিয়াতেই প্রশ্ন করলেন, ছবিটা তোমার তোলা? রেহান জানালেন, তাঁরই তোলা। রেহান নিজেই মাস চারেক আগে আকাশ থেকে তোলা মাউন্ট এভারেস্টের ছবি নেট-দুনিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। রেহান নামের সঙ্গে রাজীবের নাম ব্যবহার করেন বলে অনেকেরই ধারণা, তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসবেন। রেহানের অবশ্য এখনও ফোটোগ্রাফি ছাড়া রাজনীতিতে বিশেষ উৎসাহ দেখা যায়নি।
পটভূমি: জ়ুম বৈঠকে রাহুল গাঁধী, দেওয়ালে ভাগ্নে রেহানের তোলা এভারেস্টের ছবি।
আলো ফুটতে সাত বছর
ফেব্রুয়ারিতে কেজরীবাল সরকার নির্দেশিকা জারি করে, সরকারি দফতর, পুরসভা, দিল্লি পুলিশের দফতরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক শৌচালয় তৈরি করতে হবে। রূপান্তরকামীরা নিজস্ব পরিচয় অনুযায়ী পুরুষ বা মহিলাদের জন্য শৌচাগার ব্যবহার করতে পারবেন বলেও স্পষ্ট করা হয়। দেশের রাজধানীতে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য গণশৌচালয় খুলল। দিল্লির শাস্ত্রী ভবনের সামনে, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার কাছে শৌচালয়টি তৈরি হয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে। ২০১৪-য় সুপ্রিম কোর্টই নির্দেশ দেয়, রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য গণপরিসরে পৃথক শৌচালয় তৈরি হবে। রাজধানীতেই তার রূপায়ণ হতে সাত বছর লাগল!
লাদাখে রাজনাথ
অতিমারির প্রকোপে গোটা দেশ ভার্চুয়াল মোডে। সরকারের বেশির ভাগ বৈঠক হচ্ছে ভিডিয়োতে। কিন্তু সীমান্তে অন্য রাষ্ট্রের হানার মুখে ভিডিয়োতে কি আর যুদ্ধের প্রস্তুতি হয়? তার জন্য মাঠে নেমে পাল্টা পরিকাঠামো গড়া চাই। সাম্প্রতিক তিন দিনের লাদাখ সফরের পর এমনটাই বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। লাদাখে বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)-এর অধীনে ৬৩টি সেতুর উদ্বোধন করলেন তিনি। বললেন, এই ধরনের কাজে ভার্চুয়াল জগৎ থেকে শারীরিক দুনিয়ায় নেমে আসতেই হবে। বিআরও-কে ধন্যবাদ, তাঁরা না থাকলে আমাদের এক থেকে অন্য জগতে স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হত না।
দেওরার পথ-বিপথ
জিতিন প্রসাদ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যেতেই ফের ধাক্কা সনিয়া শিবিরে। অন্য নেতা মিলিন্দ দেওরা গুজরাত সরকারের প্রশস্তিতে টুইট করে বসেছেন! তাঁর বক্তব্য, অতিমারিতে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী অনেক ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন সম্পত্তি কর ছাড়, বিদ্যুতের নির্দিষ্ট দাম ধার্য করা। অন্য রাজ্যেরও গুজরাতের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা উচিত, বলেছেন তিনি। পরে প্রসাদের বিজেপি-যোগ নিয়ে আলোচনায়, কিছুটা ক্ষত মেরামতির ঢঙে দেওরা লেখেন, কংগ্রেসের এখনও শক্তিশালী বাহিনী রয়েছে। হাতে ক্ষমতা দিলে তাঁরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম।
এ বার তিনি লিখবেন
শীর্ষ কূটনৈতিক আধিকারিক বিকাশ স্বরূপের বেস্টসেলার অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল স্লামডগ মিলিয়নেয়ার ছবিটি। তিনি জুনে অবসর নিলেন, এ বার ঢালাও লেখার সময়, জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠদের। লেখার জন্য যে কর্মদায়িত্বে ফাঁকি দেননি, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র স্বরূপের কেরিয়ারের লেখচিত্রই বলে দিচ্ছে। কানাডায় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁর শেষ দায়িত্ব ছিল, সাউথ ব্লকে সচিবের (পশ্চিম)। গুঞ্জন— দীর্ঘ ও বর্ণময় কূটনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা, যা নাকি বিকাশ স্বরূপ লিখে উঠতে পারেননি সার্ভিস রুল-এর নিষেধাজ্ঞায়, এ বার উঠে আসতে পারে তাঁর কলমে। ভারতের বিদেশনীতির সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে একটি আদ্যন্ত উপন্যাস তো আজও লেখা হয়নি দেশে।
সব্যসাচী: অবসর নিলেন বিকাশ স্বরূপ।
আম দরবার
ফি বছরের মতো এ বারও বঙ্গের আম পৌঁছেছে রাজধানী দিল্লির তাবড় রাজনীতিকদের বাড়িতে, ভোটে হারানোর পরেও। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে অমিত শাহ, বাদ নেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও। বিধানসভা নির্বাচনে দুই শিবিরের প্রচারের ধাক্কায় তৃণমূল-বিজেপির তিক্ততা বেড়েছিল কয়েক গুণ। বাংলার হিমসাগর, গোলাপখাসেরা সেই দূরত্ব ঘোচাতে পারবে কি?