রাজস্থানেও খেলা হবে পিসি-ভাইপো তাস?
পিসি নেই। ভাইপো আছেন। রাজস্থানের তিন-তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কিন্তু সুজনগড়, রাজসমন্দ, সহাড়ায় বিজেপির প্রচারে দেখা নেই বসুন্ধরা রাজের। অথচ তারকা প্রচারকের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তিনি বিজেপির অন্যতম জাতীয় সহ-সভাপতি বলে কথা! কিন্তু রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রচারেই নেই। তাঁর সঙ্গে নাকি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের টানাপড়েন চলছে। সে অবশ্য নতুন নয়। প্রায়ই বসুন্ধরার সঙ্গে বিজেপির সদর দফতরের ঠান্ডা যুদ্ধ লেগে থাকে। কিন্তু এ বার বোধ হয় তাঁকে কড়া বার্তা পাঠানোর চেষ্টা চলছে। বসুন্ধরার ভাইপো, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মধ্যপ্রদেশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজস্থানে প্রচারে নামিয়েছে দল। ভিলওয়াড়ার সহাড়া কেন্দ্রে সিন্ধিয়াকে প্রচারে নামিয়ে বিজেপির যুক্তি, সেখানে নাকি গ্বালিয়রের রাজপরিবারের প্রভাব রয়েছে। পিসি-ভাইপোয় ঝগড়া না বেধে যায়!
ধারেভারে: বসুন্ধরা রাজে ও তাঁর ভাইপো জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
ভুল-বোঝাবুঝি
ফেসবুক যদি ‘পেটেন্ট’ শব্দটিকে ভুলক্রমে ‘পেশেন্ট’ পড়ে, তা হলে কী ঘটে? সম্প্রতি এমনই এক ঝঞ্ঝাটে পড়েছিলেন দিল্লি আইআইটি-র অধিকর্তা রামগোপাল রাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদাসক্রিয় এই অধিকর্তাকে সম্প্রতি ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্লক করে দিয়েছিল ফেসবুক! কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, তিনি লাগাতার কোভিড সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করছেন! অথচ ঘটনা হল— যে পোস্টের জন্য এহেন শাস্তি, তার সঙ্গে কোভিডের দূরদূরান্তরের সম্পর্ক নেই। মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার গুরুত্ব নিয়ে পোস্টে তিনি ‘পেটেন্ট’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন! ফেসবুকের অ্যালগরিদম ‘পেটেন্ট’-কে ‘পেশেন্ট’ পড়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়! পরে ভুল বুঝতে পেরে অবশ্য তা খুলেও দেওয়া হয়।
ভাইরাসে মারে দই
আইটি সেলের সঙ্গে আইটি সেলের যুদ্ধ জমে উঠছে। বিজেপির মতো কংগ্রেসও এ বার শক্তপোক্ত আইটি সেল তৈরিতে জোর দিচ্ছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন রাহুল গাঁধী। তার জবাব দিতে বিজেপিও সাংবাদিক সম্মেলন ডাকব ডাকব করছে, তার আগেই কংগ্রেসের আইটি সেল বলতে শুরু করল, প্রথমে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা রাহুলকে কটাক্ষ করবেন। তার পরে সবাই ওঁর পরামর্শ মেনেই কাজ করবেন। আম আদমি পার্টির আইটি সেল ফেসবুক-টুইটারে পাল্টা জবাবে বলল, রাহুল আগে অরবিন্দ কেজরীবাল কী করছেন, সেটা দেখে নেন। তার পরে সেগুলোই গোটা দেশে করা হোক বলে দাবি তোলেন। বিজেপির আইটি সেল কিছু জবাব দেওয়ার আগেই জানা গেল, রাহুলের সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল! কারণ কংগ্রেসের মিডিয়া সেলেই বেশ কয়েক জন কোভিড আক্রান্ত।
আতঙ্কের দিনরাত্রি
অন্য দিকে, এই সপ্তাহের গোড়ায় রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা পোহাল সাউথ ব্লক। ফরাসি বিদেশমন্ত্রী জন ইভ ল্য দ্রিয়াঁ-র নয়াদিল্লি সফরে আসার পর তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফরাসি বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের সময়ও আগাগোড়াই উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। প্রোটোকল অনুযায়ী বুধবার সেই বৈঠকগুলির আগে শ্রিংলার কোভিড টেস্ট করা হয়, এবং দেখা যায় রিপোর্ট ‘ইনকনক্লুসিভ’। ফলে বুধবার সকালে বাতিল হয়ে যায় বহুপ্রতীক্ষিত শ্রিংলা দ্রিয়াঁ-র বৈঠক। শেষ কয়েক দিনে বিদেশমন্ত্রী-সহ অনেকেরই সংস্পর্শে এসেছিলেন শ্রিংলা। ফলে তাঁদেরও দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ফের টেস্ট করানো হয় বিদেশসচিবের। শেষ পর্যন্ত নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর, ঘাম দিয়ে কোভিড-আতঙ্ক ছাড়ে বিদেশ মন্ত্রকের!
নিরাপদ: বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
লড়বেন কারা?
জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের অর্থমন্ত্রীদের তরফের এক রকম ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ তাঁরা। দু’জনেই অর্থনীতিতে পিএইচ ডি। এক জন আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে, অন্য জন তিরুঅনন্তপুরমের সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ় থেকে। অমিত মিত্র ও টমাস আইজ়্যাক— পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের অর্থমন্ত্রী। দু’জনের রাজ্যেই বিধানসভা ভোট। কিন্তু দু’জনেই ভোটে লড়ছেন না। কেউই যদি আর অর্থমন্ত্রী হয়ে না ফেরেন? পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল এখনই চিন্তিত— বিরোধীদের হয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তবে লড়বেন কারা!