মাস্কে ঢাকা, তবু মুখে হাসি বোঝা যায়
পরুন ও পরান। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এখন এক-এক দিন এক-এক রঙের ‘মাস্ক’ পরতে দেখা যাচ্ছে। না, এগুলো একেবারেই সাধারণ মানুষ যেমন পরেন, তেমন বাজার-চলতি মাস্ক নয়। এই মাস্ক হল সুতির কাপড়ের, হালকা রঙের। খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের তৈরি এই সব মাস্ক এখন সরকারের অন্দরমহলে প্রবল জনপ্রিয়। নির্মলার মতে, এই মাস্ক পরলে সহজে শ্বাস নেওয়া যায়। আবার দেখতেও খুব চমৎকার, অর্থাৎ রুচিশীল, মার্জিত। নির্মলা এই মাস্ক শুধু নিজেই পরছেন না, অন্যদেরও পরাচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রকের খবরের দায়িত্বে থাকা মহিলা সাংবাদিকদের এই খাদির মাস্ক উপহার হিসেবেও পাঠাচ্ছেন তিনি। মাস্কে ঢাকা থাকলেও তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে, দিব্যি বোঝা যাচ্ছে।
মুখশ্রী: নির্মলা সীতারামন শুধু মুখে নয়, নিত্যনতুন মাস্কেও ‘স্টেটমেন্ট’ দেন
গ্রাস কেড়ে নিল
সাম্প্রতিক অতীতে দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু বাজারের তুলনায় চিকেন বিরিয়ানি, দক্ষিণী ধাঁচের খিচুড়ি অথবা কিমা কারি অনেকটাই সস্তা লোকসভার ক্যান্টিনে। সম্বৎসর খোলা এই ক্যান্টিনে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারেন সংসদের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী, বিভিন্ন কাজে আসা অতিথিরা। করোনাভাইরাস তাঁদের গ্রাস কেড়ে নিল আক্ষরিক অর্থেই। সরকারি নির্দেশ, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হবে ক্যান্টিনের প্রধান মিল। শুধু পাওয়া যাবে চা এবং টুকিটাকি। পাশাপাশি ভিড় কমাতে, লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন কর্মচারীদেরও (যাঁদের প্রবেশের পাস থাকে) সংসদে ঢোকা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বেশি নজর
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন বেঙ্কাইয়া নায়ডু ফোন করছেন সাংসদদের। তৃণমূলের সাংসদ আবীররঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর কথা হল। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খোঁজ করে তাঁকে কুশল জানিয়েছেন বেঙ্কাইয়া। তৃণমূলের বিভিন্ন দাবি প্রতিবাদ নিয়ে রাজ্যসভায় সক্রিয় আবীরবাবুকে তিনি সহাস্যে বলেন, ‘‘তুমহারে উপর মেরা জাদা ধ্যান রহতা হ্যায়!’’
‘মাইক বন্ধ করুন’
ভিডিয়ো কনফারেন্সের সুবিধা যেমন, অসুবিধাও তেমনই এক হাজার একটা। সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানিতে তার নিত্যনতুন নমুনা। প্রায়ই একটা কাণ্ড ঘটে: এক সঙ্গে সকলেই তাঁদের মাইক্রোফোন চালু করে ফেলেন। ফলে শেষ অবধি কারও কথাই শোনা যায় না। বিরক্ত হয়ে এক দিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা করলেন কী, একটা সাদা কাগজে ‘‘সবাই মাইক্রোফোন বন্ধ করুন’’ লিখে ক্যামেরার সামনে তুলে ধরলেন। তার পর থেকে আদালতের কর্মীদের এখন নতুন কাজ হয়েছে। তাঁরা দুটি প্ল্যাকার্ড হাতে করে বসে থাকেন। বিচারপতিদের হয়ে কখনও ‘‘মাইক্রোফোন চালু করুন’’, আবার কখনও ‘‘মাইক্রোফোন বন্ধ করুন’’ লেখা প্ল্যাকার্ড, দরকার মতো তুলে ধরেন তাঁরা। বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় সে দিন আক্ষেপ করলেন, তরুণ আইনজীবীরাই নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সড়গড় হতে অসুবিধায় পড়ছেন।
চিন নিয়ে ব্যস্ত
আইপ্যাডে অন্তত খান পঁয়ত্রিশ মিডিয়া অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়েছে তাঁকে। চিনের সব ক’টি কাগজ এবং চ্যানেলে তাঁর চোখ রাখা বাধ্যতামূলক, যার মধ্যে রয়েছে ‘গ্লোবাল টাইমস’, ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’, ‘চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক’ (সিজিটিএন) ইত্যাদি। বিজেপি-র জেনারেল সেক্রেটারি রাম মাধবের কাছে বেজিং এখন একটা বড় দায়। কারণ দলের অন্য কোনও নেতার সাম্প্রতিক চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে মুখ খোলার অনুমতি নেই। যা বলার, বলবেন মাধব। মন দিয়ে দলের সেই নির্দেশ পালন করছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, খুব দ্রুত চিনের ইতিহাস এবং ভাষা নিয়ে একটি অনলাইন কোর্সে নাম লেখাতে চলেছেন রাম মাধব। কেউ আবার ‘চিনের প্রতি আগ্রহ’ দেখে হোয়াটসঅ্যাপে বাঁকা মতামত না পোস্ট করে!
চিনছেন: চিন বুঝছেন রাম মাধব
রাজীব রাহুল রাজীব
এক দিকে রাহুলের পুত্র রাজীব। অন্য দিকে রাজীবের পুত্র রাহুল। হেঁয়ালি নয়। বাস্তব। রাহুল গাঁধী মাঝে মাঝেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অতিমারি, লকডাউন নিয়ে কথা বলছেন। তাঁর নতুন অতিথি ছিলেন বজাজ অটো-র এমডি রাজীব বজাজ। কংগ্রেস নেতারা মজা করে বললেন, এ তো ভ্রান্তিবিলাস! রাহুল গাঁধীর পিতার নাম রাজীব। আবার রাজীব বজাজের বাবা প্রবীণ শিল্পপতি রাহুল।