সে দিন একটা খবর ছিল (আবাপ, ৩০-৮) যাতে যে কোনও সচেতন সমাজে আলোড়ন ওঠার কথা। আমাদের মধ্যে কেন ওঠেনি, সে প্রশ্নটা নিজেদের কাছে করা উচিত।
খবর এই: পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার নেই, চিকিৎসা চালাচ্ছেন ফার্মাসিস্টরা। মুর্শিদাবাদ জেলাতেই এমন কেন্দ্র ‘প্রায় কুড়িটি’, আছে আরও অন্তত তিনটি জেলায়। বাকি জেলাগুলি যে ঘাটতিমুক্ত, তার নিশ্চয়তা নেই। সব মিলিয়ে মাত্র পঞ্চাশটি কেন্দ্র হলেও আনুমানিক ৩৫,০০,০০০ গ্রামবাসী শুধু আইনানুগ চিকিৎসাব্যবস্থার আওতার বাইরে নন, অননু্মোদিত ব্যক্তির দ্বারা ভুল চিকিৎসার খাঁড়া তাঁদের উপর ঝুলছে।
ফার্মাসিস্টরা ভীত ও উদ্বিগ্ন। এক উচ্চ স্বাস্থ্য-অধিকর্তা বলেছেন, বিষয়টা তাঁরা জানতেন না। তাঁরাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার নিয়োগ করেন, অতএব অভাবটা তাঁদের গোচরে আসার কথা। সে ক্ষেত্রে কীভাবে চিকিৎসা চলছে, তা নিয়ে কৌতুহল বোধ করা স্বাভাবিক। দেখা যাচ্ছে কোনওটাই ঘটেনি।
এমন ঔদাসীন্য চিরাচরিত, অনুক্ত হিসাবটাও সহজ। কিছু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুর্দশায় কর্তাদের ক্ষতিবৃদ্ধি নেই, নেই আপনার-আমার প্রায় কারও। বেশির ভাগ স্থানীয় মানুষ নিশ্চয় অসুস্থ হবেন না; যাঁরা হবেন, সচরাচর ফার্মাসিস্টের দাওয়াইয়ে অন্তত সাময়িক উপকার পাবেন, দু-একটা অঘটন সামলে নেওয়া যাবে। মুশকিল এই, সঞ্চিত অবহেলা আর অপকীর্তি একদিন ফেটে ওঠে বেআব্রু বিপর্যয়ে: সেতু ভেঙে পড়ে, অগ্নিকাণ্ড বাধে, মহামারী ছড়ায়, দাঙ্গা লাগে। কখনও, কী সাংঘাতিক, নেতারা নির্বাচনে হারেন। আমলাদের প্রায় কোনওদিন কিছু হয় না।
এ সব বেয়াড়া প্রশ্ন তুললে শাসককুল প্রায়ই জনগণের উপর একটা নির্মম প্রতিশোধ নেন। প্রতিকারের ঝামেলায় না গিয়ে নিয়মের দোহাই তুলে তাঁরা পরিষেবা একদম বন্ধ করে দেন: দোষ ধরেছ এত বড় সাহস, এ বার ঠেলা বোঝো! ব্ল্যাকমেলের কবলে পড়ে নিরুপায় জনগণ সেই ত্রুটিপূর্ণ বিপজ্জনক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার মিনতি করেন; জনরোষ গিয়ে পড়ে অপরাধী কর্তৃপক্ষ নয়, ‘হুইসল-ব্লোয়ার’-এর উপর। এ ক্ষেত্রে বাঁশি বাজিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীর দল, দেখা যাক কী হয়।
কিন্তু এই প্রশাসনিক অন্ধত্বের যে বাস্তব কারণ অর্থাৎ ডাক্তারের শোচনীয় অভাব, তা ঘটল কী করে? এই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও জনপরিষেবা একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখা যাক।
গত ক’বছরে জনমুখী প্রশাসন ও পরিষেবার একটা আবহ রাজ্যে সত্যিই সৃষ্টি হয়েছে। জনমুখী মানেই গণতান্ত্রিক নয়। স্বৈরাচার আর দলবাজি যথেষ্ট বিদ্যমান, হিংসা-হুমকি-তোলাবাজি নিত্যকার ঘটনা। তবু সাধারণ স্তরের মানুষ বহুদিন বাদে রাজ্যের সরকারকে ‘আমাদের’ বলে ভাবছেন, প্রশাসনের শিখর থেকে তাঁদের মনের ভাষা (শাসকের ‘মন কি বাত’ নয়) প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। যে আমলা ও কেরানিকুলের দাপটে জনগণ সংকুচিত ছিলেন, সাধারণ্যের চাহিদা মেটাতে তাঁরাও এক-আধটু নড়তে-চড়তে বাধ্য হচ্ছেন (কত অল্প মাত্রায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই দৃষ্টান্তেই যদিও স্পষ্ট)। প্রত্যন্ত জেলাতেও রাস্তাঘাটের হাল ফিরেছে, বিদ্যুৎ প্রায় সর্বত্র পৌঁছেছে, শিক্ষা ও সামাজিক ক্ষেত্রে বড় মাপের কিছু শুভ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রধান অবশ্যই কন্যাশ্রী।
এই সব উপকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি জনমোহিনী বা পপুলিস্ট রাজত্বের লক্ষণও প্রকট: জনগণকে চটজলদি খুশি করার, চমক দেবার ঝোঁক, চিন্তা-যুক্তি-পরিকল্পনার চেয়ে আবেগ মেটানো, হুজুগ সৃষ্টির তাগিদ। এমন শাসন প্রায়ই আইন অগ্রাহ্য করে, হঠকারিতার প্রশ্রয় দেয়, জনস্বার্থের নামে নতুন উৎপীড়ন সৃষ্টি করে। বঞ্চিত জীবনে কিছু প্রাপ্তির আশায় সাধারণ মানুষ অনেক অনাচার কেবল মেনে নেয় না, প্রায়ই অনেকটা সমর্থন করে।
জনকল্যাণ আর লোকরঞ্জন, দীর্ঘমেয়াদি আর স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য অনেক ক্ষেত্রে মিলে যায়। পোড়খাওয়া জনগণ নিজেদের স্বার্থ ভালোই বোঝেন, সঠিক জিনিষই দাবি করেন। সেই দাবিগুলির মধ্যে কিন্তু একটা মৌলিক স্তরভেদ আছে, সেটা ভুললে বিপদ। কতগুলি উন্নয়ন বস্তুভিত্তিক, সহজসিদ্ধ। একটা রাস্তা বা সেতু তৈরি হলেই কাজ হাসিল। শিক্ষা বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিন্তু কেবল বাড়ি বানালে কিছুই করা হল না। আসল কাজ তার পর শুরু: পর্যাপ্ত সাজসরঞ্জাম বসানো, সর্বোপরি শিক্ষক বা ডাক্তার থেকে শুরু করে সব রকম কর্মীর ব্যবস্থা করা।
উন্নয়ন প্রকল্পের যে তালিকা ঘন ঘন ঘোষণা হয়, পরিকাঠামো আর মানবসম্পদের নিরিখে তাতে বিশাল ঘাটতি। প্রতিষ্ঠান যত বাড়ছে, ঘাটতিও বাড়ছে লাফিয়ে-লাফিয়ে, বিশেষত কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে। ফলে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলি দানা বাঁধতে পারছে না, অথচ পুরনোগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সীমিত অর্থবরাদ্দ উত্তরোত্তর বেশি শরিকের মধ্যে ভাগ হয়ে কোথাও তেমন কাজে আসছে না। বলা চলে, উন্নয়ন যতটা হচ্ছে, উন্নতি ততটা নয়।
উপরোক্ত খবরেই প্রকাশ, ডাক্তারের অভাব কী চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা আগে শোচনীয় রকম কম ছিল, বহু রাজ্যের তুলনায় এখনও তাই। ভিন রাজ্যের ডাক্তাররা এখানে আসতে অপারগ, বরং এখানকার ডাক্তাররা অন্যত্র যেতে উন্মুখ। এ নিয়ে অনুযোগ করা বৃথা, জোরজবরদস্তি করলে আরও বিপদ। তরুণ সরকারি ডাক্তারদের উচ্চতর শিক্ষার পথ আটকালে ভবিষ্যতে অন্যেরা আসতে আরও অনাগ্রহী হবেন: তাঁদের সামনে অনেক লোভনীয় রাস্তা খোলা। নার্সরা বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে সরকারি চাকরি নিতে উৎসুক; ডাক্তার বা স্বাস্থ্য-প্রযুক্তিবিদ তবে নন কেন? প্রবীণ চিকিৎসকদের প্রচুর দক্ষিণা দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য ডাকা হচ্ছে; নবীনদের জন্য স্থায়ী আকর্ষণীয় ব্যবস্থা কি সত্যিই অসম্ভব? প্রশ্নের উত্তর জানিনা, কিন্তু রাজ্যবাসীর সেটা জানা জরুরি।
আপাতত নতুন সুপারস্পেশালটি হাসপাতালে প্রায়ই চলছে মামুলি বহির্বিভাগ মাত্র। নতুন-পুরনো সর্বত্র যন্ত্রের অভাবে ডাক্তার বসে আছেন, ডাক্তারের অভাবে যন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরের চল্লিশটি নতুন হাসপাতাল ঘোষণার আগে কোনও হিসেবনিকেশ হয়নি? গালভরা সাইনবোর্ড মাফিক পরিষেবা না পেয়ে ইতিমধ্যেই দু-চারটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, হাসপাতাল ভাঙচুরের দীর্ঘ ঐতিহ্য নতুন মাত্রা পাচ্ছে। নিছক আইন করে তা ঠেকানো কঠিন, করলেও মানুষের অন্তরের ক্ষোভ কমবে না। না হবে সুষ্ঠু চিকিৎসা, না মিটবে জনসন্তুষ্টির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
এর বদলে কি ভাবা যেত, সুলভ উন্নত গণচিকিৎসার প্রশংসনীয় উদ্যোগ অন্য ভাবে রূপায়িত করা: যেমন, জেলায়-জেলায় নতুন-পুরনো মেডিক্যাল কলেজ ও অন্য কিছু প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের চালু পরিকাঠামোর সুযোগ নিয়ে সেগুলিই সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করে, সেই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ধাপে-ধাপে প্রত্যেক পর্যায়ে বর্তমান ব্যবস্থাটা জোরদার করে? যে রোগীদের সত্যিই কঠিন রোগের জটিল চিকিৎসা দরকার, এতে তাঁদের ক্ষতি হত, না লাভ? যাঁদের অসুখ অত কঠিন নয়, তাঁরা গ্রাম বা মহকুমা স্তরেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেতেন। রেফারালের প্রবণতা তাতে বাড়ত না কমত? সীমিত অর্থের আরও সদ্ব্যবহার হত না কি?
প্রশ্ন জনসন্তুষ্টি নিয়ে। গ্রামের পাশেই মস্ত হাসপাতালের গল্প শুনলে ও তার আগাম কিস্তি হিসাবে জমকালো বাড়ি উঠলে লোকে যত রোমাঞ্চিত হয়, জেলা হাসপাতালে কটা নতুন যন্ত্র বসলে অবশ্যই হয় না। সে যন্ত্র তারা না পাচ্ছে দেখতে, না পাচ্ছে তার মর্ম বুঝতে, অধিকাংশের কোনওদিন দরকারও পড়বে না। যাদের পড়বে তারা নাহয় জীবন ফিরে পাবে, কিন্তু তাদের কটা ভোট, জীবন গেলেই বা কটা কমবে? ব্যাপক মোহভঙ্গ হতে দেরি আছে: হয়তো ততদিনে কিছু পরিষেবা বাড়িয়ে সামাল দেওয়া যাবে, নইলে তখন যা হোক দেখা যাবে।
একই কথা বলা চলে উচ্চশিক্ষার প্রসার নিয়ে। অন্যান্য রাজ্যে নতুন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সবই বেসরকারি, অতএব মহার্ঘ। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি উদ্যোগে উচ্চশিক্ষার প্রসার নীতিগতভাবে অবশ্যই স্বাগত। ব্যক্তিগত উপকারের কথা বাদ দিলেও, সব শ্রেণি সব গোষ্ঠীর মানবসম্পদ উদ্ধার করে দেশের কাজে লাগাতে এ ছাড়া উপায় নেই। প্রশ্ন একটাই, এই জনদরদি কর্মসূচি কীভাবে রূপায়িত হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের যেন অভিপ্রায়, প্রত্যেক জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; কলেজেগুলিতেও বেশি করে স্নাতকোত্তর পাঠের ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে কোনও মফস্সল কলেজের দু-চারটি ঘরে হাতে-গোনা আংশিক সময়ের শিক্ষক দিয়ে। ক্রমে নিজস্ব এক-আধটা ভবন হচ্ছে, স্থায়ী শিক্ষক আসছেন দু-পাঁচজন। গ্রন্থাগার ও অন্য পরিকাঠামো অপ্রতুল, বিজ্ঞানপাঠের উপযোগী গবেষণাগার আকাশকুসুম: বিজ্ঞান বিভাগই কম বা অনুপস্থিত, এমন অবস্থায় হয়তো সেটাই মঙ্গল।
এখানেও মানদণ্ড সেই জনসন্তুষ্টি। এটুকুতেই জেলার মানুষ খুশি হচ্ছেন। তাঁদের ছেলেরা, ও বিশেষ করে মেয়েরা, ঘরের কাছে স্নাতকোত্তর পাঠের সুবিধা পচ্ছে, শিক্ষক বা সরকারি চাকুরে হবার স্বপ্ন দেখছে, তাদের সামাজিক সম্মান ও আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। সেই আত্মোন্নতির ফলেই কিন্তু তারা বুঝতে বাধ্য – বিশেষত আজ বিশ্বায়নের যুগে স্রেফ স্মার্টফোনের মাধ্যমে – এই উচ্চশিক্ষার দুধে কতটা জল মিশছে, প্রত্যাশিত কত সুযোগ রয়ে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। ভালোমত বুঝতে হয়তো দু-একটা নির্বাচন কেটে যাবে। তারপর?
এর পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের নানা হঠকারী সিদ্ধান্তে রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত ও সফল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হতোদ্যম হয়ে পড়ছে। এখনও সর্বভারতীয় স্তরে তারা অগ্রণী, এমন চললে কদিন থাকবে বলা দুষ্কর। এখানেও অর্থবরাদ্দ বহুবিভক্ত হয়ে সর্বত্র কমছে। এর চেয়ে যদি চালু বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নত করা হত, যথেষ্ট কৃতী শিক্ষক আকৃষ্ট করা যেত, আর সেখানেই সারা রাজ্যের ছাত্রদের সুলভ হস্টেলের ব্যবস্থা হত, রাজ্য জুড়ে শিক্ষার মান বাড়ত, টাকার সদ্ব্যবহার হত অনেক নিবিড় ভাবে।
শেষ একটা প্রশ্ন। শিক্ষার আলোচনায় ডাক্তারি পাঠ প্রায়ই স্থান পায় না, কারণ তা শিক্ষা দফতরের অধীনে নয়। চিকিৎসক সমাজ এ বিষয়ে বলতে গেলে মৌন। সেটা কি তাঁদের সার্বিক সন্তোষ ও সমর্থনের লক্ষণ, না ঔদাসীন্যের, না দ্বিধা বা ভীতির? উত্তর তাঁরাই দেবেন, এত সম্মাননীয় পেশা সেই দায় এড়াতে পারে না। আর সব কিছু ছেড়ে দিলাম, শয়ে-শয়ে চিকিৎসক পদ পূরণের প্রসঙ্গে প্রশ্নটা জরুরি। আরও জরুরি জানা, সেই চিকিৎসক গড়ার শিক্ষক-প্রশিক্ষক কোথা থেকে আসবেন, তাঁরাই বা কেমন করে প্রশিক্ষিত হবেন।
রাজ্যের উদ্যোগ নস্যাৎ করার জন্য নয়, সার্থক করার জন্যই এ সব কথা তোলা দরকার। দেশ জুড়ে প্রায় সর্বত্র সব ক্ষেত্রে যে নীতি ও কর্মসূচি পালিত হচ্ছে, তা সাধারণের স্বার্থের অনুকূল নয়। বিকল্প পন্থা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের জনমুখী কর্মকাণ্ড সর্বাংশে সফল করা তাই বেশি করে জরুরি – কেবল রাজ্যবাসীর স্বার্থে নয়, দেশের সামনে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। তার ত্রুটি ও বিপদগুলি তাই নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখা দরকার। বাংলা এখনও যা ভাবছে, সারা ভারত যেন কাল সত্যিই ভাবতে উদ্বুদ্ধ হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে এমেরিটাস অধ্যাপক