পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন অঙ্কে নেমে গেল সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি। জুলাইয়ে ওই হার কমে দাঁড়াল ৫.১৯ শতাংশে। যার জেরে এ দিন আরও খানিকটা উঠল শেয়ার বাজার। ১৮৪ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স ফের ঢুকে পড়ল ২৬ হাজারের ঘরে। দিনের শেষে থিতু হল ২৬,১০৩.২৩ অঙ্কে।
তবে এ দিনই প্রকাশিত জুলাইয়ের আমদানি-রফতানির পরিসংখ্যান শিল্পমহল, সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই দুশ্চিন্তা কিছুটা বাড়িয়েছে। গত দু‘মাসে দশের উপর থাকার পরে ওই মাসে রফতানি বৃদ্ধির হার নেমেছে ৭.৩৩ শতাংশে। দাঁড়িয়েছে ১,৬৯,০৯২ কোটি টাকায় (২৭৭২ কোটি ডলার)। অন্য দিকে, আমদানি ৪.২৫% বেড়ে হয়েছে ২,৪৩,৬৯৫ কোটি টাকা (৩৯৯৫ কোটি ডলার)। মূলত তেল আমদানি ১২.৭৫% বৃদ্ধিই যার অন্যতম কারণ। আর এর ফলেই এক বছরের সর্বোচ্চ অঙ্কে (১২২২ কোটি ডলার) পৌঁছেছে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও আসন্ন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে রফতানিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের কাছে বাড়তি সুবিধা দাবি করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি কমেছে মূলত কিছু সব্জির দাম কমার কারণেই। যদিও আলুর দাম বেড়েছে ৪৬.৪১%। এমনকী দুধ, ফল-সহ সমস্ত খাদ্যপণ্যের সম্মিলিত মূল্যবৃদ্ধিও জুনের তুলনায় বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিতেও খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে ঘাটতি বর্ষাই যার মূল কারণ। এমনকী এটাই আগামী দিনে ফের মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কাকে জিইয়ে রাখছে বলে মনে করছে তারা। চিন্তিত শিল্পমহলও এ দিন জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোগানের যাবতীয় বাধা কাটাতে আরও উদ্যোগী হোক সরকার। সেই সঙ্গে রূপায়িত হোক বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রের জন্য ঘোষিত প্রস্তাবগুলি।