অর্থনীতিতে ফের অশনি সঙ্কেত। আটটি পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির হার জানুয়ারিতে নেমে এল ১.৮ শতাংশে। গত ১৩ মাসে সবচেয়ে নীচে। অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন সরাসরি কমা এবং পাশাপাশি ইস্পাত, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ শিল্পে নামমাত্র উৎপাদন বৃদ্ধিই এর মূল কারণ বলে সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৩.৭%, ২০১৪-র ডিসেম্বরে ২.৪%।
প্রসঙ্গত, কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ, এই আটটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকেই পরিকাঠামো শিল্পের আওতায় ধরা হয়। সার্বিক শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার হিসাবে এই পরিকাঠামো ক্ষেত্রের গুরুত্ব ৩৮%। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও তার ঋণনীতি তৈরিতে গুরুত্ব দেয় এই হারকে। সেই কারণেই জানুয়ারিতে তা তলানিতে ঠেকায় শিল্পকে চাঙ্গা করতে আরও জোরালো হয়েছে সুদ কমানোর দাবি। সে ক্ষেত্রে ৭ এপ্রিল ঋণনীতির আগে চলতি সপ্তাহেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তড়িঘড়ি সুদ কমানোর পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তার কারণ, মূল্যবৃদ্ধি যাতে ফের ঊর্ধ্বমুখী না-হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে বাজেটে অঙ্গীকার করেছেন। এ নিয়ে চুক্তিও হয়েছে আর বি আইয়ের সঙ্গে। মরগ্যান স্ট্যানলি-র এশীয় অঞ্চলের অর্থনীতিবিদ চেতন আহিয়া বলেন, ২০১৫-র শেষ নাগাদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্ভবত সুদ ১২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে। সম্ভবত তার প্রথম দফায় এ সপ্তাহেই সুদ কিছুটা কমবে।
জানুয়ারিতে অশোধিত তেল উৎপাদন সরাসরি কমেছে ২.৩%, প্রাকৃতিক গ্যাস ৬.৬%। তবে কয়লা ও পরিশোধন ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ১.৭% এবং ৪.৭%। এপ্রিল-জানুয়ারি দশ মাসে পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন বেড়েছে ৪.১%, আগের বছর তা ছিল ৪%।