কৃতিত্ব দাবি চিদম্বরমের

নতুন নিয়মে বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ

মোদী-জমানায় সদ্য চালু জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) মাপার নতুন পদ্ধতিতে বেড়ে গেল মনমোহন-সরকারের শেষ বছরের বৃদ্ধির হার। যা দেখে তখনকার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, সেই সময় থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে অর্থনীতি। এক দশকে বৃদ্ধির হারও সবচেয়ে ভাল থেকেছে ইউপিএ জমানাতে। এমনকী এর পরে বৃদ্ধি ৫ শতাংশের নীচে নামা নিয়ে ‘গেল গেল’ রব ধোপে টেকে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২২
Share:

মোদী-জমানায় সদ্য চালু জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) মাপার নতুন পদ্ধতিতে বেড়ে গেল মনমোহন-সরকারের শেষ বছরের বৃদ্ধির হার। যা দেখে তখনকার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, সেই সময় থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে অর্থনীতি। এক দশকে বৃদ্ধির হারও সবচেয়ে ভাল থেকেছে ইউপিএ জমানাতে। এমনকী এর পরে বৃদ্ধি ৫ শতাংশের নীচে নামা নিয়ে ‘গেল গেল’ রব ধোপে টেকে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

অর্থনীতির আয়তন কী ভাবে বাড়ছে, তা মাপার ফিতে বদলে দেওয়ার কথা গতকালই বলেছে দিল্লি। জানিয়েছে, উৎপাদন খরচের বদলে এ বার বাজার দরের ভিত্তিতে হিসেব করা জিডিপি দিয়ে বৃদ্ধি মাপবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছে জিডিপি হিসেবের ভিত্তি বর্ষও। ২০০৪-’০৫ আর্থিক বছরের পরিবর্তে এখন ২০১১-’১২ সালের দামের ভিত্তিতে তা কষা হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ীই ২০১৩-’১৪ সালের বৃদ্ধির হার ৪.৭% থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৯%। যা মনমোহন-জমানার শেষ বছর। একই ভাবে, ২০১১-’১২ সালেও বৃদ্ধি ৪.৫% থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.১ শতাংশে।

অনেকে মনে করছেন, এর ফলে চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতিকে জিডিপি-র ৪.১ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখা সুবিধাজনক হবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পক্ষে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যিই তা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিমত আছে। অনেকের মতে, নয়া নিয়মে বৃদ্ধির হার চড়লেও কমেছে অর্থনীতির আয়তন। ফলে সুবিধা হবে না জেটলির। বিশেষত যেখানে এ দিন পরিসংখ্যানে জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বরেই রাজকোষ ঘাটতি পুরো অর্থবর্ষের লক্ষ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বৃদ্ধি মাপার নয়া নিয়ম জেটলির মুখে হাসি ফোটাবে কি না, তার উত্তর দেবে সময়ই। কিন্তু এ দিন তা স্বস্তি দিয়েছে চিদম্বরমকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি মনমোহন-জমানার শেষ লগ্নে অত খারাপ ছিল না অর্থনীতির হাল? পরিসংখ্যান সচিব টি সি এ অনন্ত অবশ্য বলেন, “২০০৪-’০৫ সালের বদলে আমরা ২০১১-’১২ অর্থবর্ষের সাপেক্ষে বৃদ্ধির হার মাপছি। যখন অর্থনীতির ছবি একেবারেই খারাপ ছিল। সেই কারণেই ঠিক পরের বছরে বৃদ্ধির হার অনেক বেশি দেখাচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement