দীর্ঘ দিন লেনদেন হয়নি, এমন সেভিংস অ্যাকাউন্টে (ইনঅপারেটিভ অ্যাকাউন্ট) এ বার ন্যূনতম টাকা (মিনিমাম ব্যালান্স) রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, এ বার থেকে ওই ধরনের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট নূ্যনতম অঙ্ক না-থাকলেও, তার জন্য গ্রাহককে আর জরিমানা করা চলবে না।
অবশ্য অন্য সেভিংস অ্যাকাউন্টে (যেখানে গ্রাহক নিয়মিত লেনদেন করেন) ‘মিনিমাম ব্যালান্স’ সংক্রান্ত পুরনো নিয়মই আপাতত বহাল থাকছে। অর্থাৎ, সেখানে জরিমানা এড়াতে ন্যূনতম টাকা রাখতেই হবে গ্রাহককে। এ প্রসঙ্গে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জয় আর্য বলেন, “ইনঅপারেটিভ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কম। তাই এই নির্দেশ মানতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।”
উল্লেখ্য, সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে বা তিন মাসে গ্রাহককে অন্তত কত টাকা জমা রাখতে হবে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সেই পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে। কোনও কারণে তা জমা রাখতে না-পারলে, তার জন্য গ্রাহককে জরিমানা করে ব্যাঙ্ক। এক-এক ব্যাঙ্কে ওই জমা এবং জরিমানা এক-এক রকম।
কিন্তু সমস্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টেই ন্যূনতম টাকা রাখার এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার কথা অনেক দিন ধরেই বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিছু ব্যাঙ্ক মিনিমাম ব্যালান্স-এর বাধ্যবাধকতা নিজে থেকে তুলেও দিয়েছে। তবে তেমন ব্যাঙ্কের সংখ্যা নেহাতই কম। এই পরিস্থিতিতে গত মাসে ঋণনীতি পর্যালোচনায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজনের প্রস্তাব ছিল, “অ্যাকাউন্টে টাকা ন্যূনতম অঙ্কের নীচে নামলে জরিমানা না-করে বরং সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কিছু পরিষেবা কমিয়ে দিক ব্যাঙ্কগুলি। জমা বাড়লে ফের সেগুলি চালু করুক।” তখনই যে অ্যাকাউন্টে লেনদেন তেমন হয় না, সেখানে জরিমানা না-নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ দিন অবশ্য দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ জারি করলেও, প্রথমটি নিয়ে কিছু জানায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।