আল কায়দা, তালিবান-সহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন ও ব্যক্তিদের সম্পর্কে নতুন করে সতর্কতা জারি করল সেবি।
এই ধরনের গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তৈরি নতুন তালিকাটি সম্প্রতি বিএসই, এনএসই-র মতো স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এনএসডিএল, সিডিএসএলের মতো ডিপোজিটরিগুলিকে পাঠিয়েছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক। তারা যাতে ভারতের আর্থিক ব্যবস্থার আইনি ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে এখানে নিরাপদে নিজেদের অর্থ জমা রাখতে না-পারে, সে জন্যই এই উদ্যোগ। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, শেয়ার লেনদেন ইত্যাদির ক্ষেত্রে সন্দেহ হলেই এই তালিকা মিলিয়ে নিতে বলেছে সেবি। অবিলম্বে পুরনো অ্যাকাউন্টেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে তারা।
সেবির বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কোনও সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে সেবি এবং ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অব ইন্ডিয়াকে (ফিউ-ইন্ডে) জানাতে হবে। নিয়ম অনুসারে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এই সব নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ও ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে। তা স্টক এক্সচেঞ্জ ও ডিপোজিটরিগুলিতে পাঠাতে হয় সেবিকে। এক্সচেঞ্জগুলি আবার ব্রোকার সদস্য এবং অন্যান্য সংস্থার কাছে তা পাঠিয়ে দেয়। এনএসইর এক পদস্থ কর্তা জানান, সুরক্ষার খাতিরে সব সময়েই নজরদারি চালাতে হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।
এ বারও জুলাইয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকা। প্রথম তালিকায় আছে তালিবানের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন ও ব্যক্তিদের নাম। দ্বিতীয় তালিকায় আল কায়দার সঙ্গে আছে মুম্বই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সন’ দাউদ ইব্রাহিম।
কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেবি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানাতে হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে। সন্দেহ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা এবং আর্থিক পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকী কোনও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও ফিউ-ইন্ডে খবর পাঠাতে হয় তাদের।