সিআইআইয়ের সৌগত মুখোপাধ্যায় ও বীরেশ ওবেরয়ের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও সচিব হৃদেশ মোহন (বাঁ দিক থেকে)।
দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি আইটিআই পরিদর্শনে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা সচিব হৃদেশ মোহন। দেখেছিলেন, যে পাঠ্যক্রম সেখানে পড়ানো হচ্ছে, তা সেই মান্ধাতা আমলের টিভি সারানোর। আজকের এলসিডি-এলইডি টিভির যুগে যে প্রযুক্তি প্রায় অচল!
শুক্রবার বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত আলোচনা সভায় এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোহন জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যের পাঁচ আইটিআই-এ বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য (ফ্রিজ, টিভি ইত্যাদি) সারাইয়ের আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ ‘ল্যাবরেটরি’ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা রয়েছে তা আরও ছড়ানোর। এ জন্য স্যামসাঙের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরিকল্পনা আছে সিইএসসি, বার্জার পেইন্টসের মতো কিছু সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়ার। এমনকী গাড়ির দক্ষ চালক পেতে টাটা মোটরসের হাত ধরতেও রাজ্য রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, শিল্পের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার এই দূরত্বের কথা বরাবরই বলেছে শিল্পমহল।
কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “রাজ্যে মেধা সম্পদের অভাব নেই। তাকে দক্ষ কর্মী সম্পদে পরিণত করতে চাই।” একই সঙ্গে, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এনএসডিসি) সঙ্গেও গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী রাজ্য। সচিব জানান, সব ঠিকঠাক চললে, শীঘ্রই এনএসডিসি-র সঙ্গে সমঝোতা পত্র সই হওয়ার কথা। এনএসডিসি-র অন্যতম কর্তা রাজীব মাথুরও জানিয়েছেন, আইটিআইগুলিকে পরিচালনার জন্য তাঁরা রাজ্যগুলিকে সাহায্য করেন। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে চুক্তি হলে, সে ভাবেই কাজ হবে।
সভায় উপস্থিত টাটা মোটরসের এক কর্তা বলেন, উপযুক্ত না হয়েও অনেকে বাণিজ্যিক গাড়ি চালাচ্ছেন। চালকদের জন্য প্রশিক্ষণের কথা বলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই মোহনের প্রস্তাব, “আপনারা এগিয়ে আসুন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করুন এখানে।” উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের সিংরৌলিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সাহায্য করেছে টাটা মোটরস।