প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইয়েস ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিল, বাসেল-থ্রি বিধি অনুযায়ী ব্যাঙ্কের অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ক্যাপিটাল বন্ডে লগ্নির টাকার পুরোটাই হিসেবের খাতা থেকে মোছা হবে। বিনিয়োগের আসল ও সুদ, কোনও টাকাই ফেরত পাবেন না লগ্নিকারী। এই খাতে বিনিয়োগের অঙ্ক প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। তবে সে ক্ষেত্রে আইনি লড়াইয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রের খবর, লগ্নিকারীদের খসড়া পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যচে বড় সংস্থাকে বিপুল ঋণের বদলে ছোট ব্যবসা ও খুচরো ঋণেই জোর দেবে ইয়েস ব্যাঙ্ক। কমানো হবে বাণিজ্যিক আবাসন, এনবিএফসি, গৃহঋণ সংস্থা, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামোয় বড় ঋণের অংশ।
প্রশাসক প্রশান্ত কুমার জানান, এর সঙ্গে দেশ জুড়ে ১০০০ শাখাকে কাজে লাগিয়ে ফের আমানত শক্তিশালী করা এবং খরচ কমানো তো আছেই। রবিবার ২৫০ কোটি টাকা ঢালার কথা জানিয়েছে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক।
সমস্যা
• ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ক্ষতি ১৮,৬৫৪ কোটি টাকা।
• দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ।
• গত ছ’মাসে তোলা হয়েছে ৭২,০০০ কোটির জমা।
• কমেছে ব্যাঙ্কের সম্পদও।
পরিকল্পনা
• ১০,০০০ কোটি টাকার নতুন পুঁজি।
• ১০০০ শাখাকে আমানত বাড়ানোর কাজে লাগানো।
• খুচরো ও ছোট ব্যবসাকে ঋণ দেওয়ায় জোর।
ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কটির লোকসান হয়েছে ১৮,৬৫৪ কোটি টাকা। ৪০,০০০ কোটি পেরিয়েছে অনুৎপাদক সম্পদ। অনেকের মতে, চতুর্থ বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতি তো এক দিনে এই জায়গায় পৌঁছয়নি! অবস্থা সামলাতে আগেই রাশ হাতে নেওয়া গেল না কেন? বস্তুত, খসড়া পরিকল্পনাতেই বলা হয়েছে, এখন যা অবস্থা তাতে অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আসতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ হয়ে যেতে পারে।