এত দিন যে-আমেরিকা অবাধ বাণিজ্য নিয়ে সব থেকে বেশি সরব ছিল, সেখানেই এখন উল্টো সুর। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার স্বার্থেই অবাধ বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গিয়ে ব্রিটেনও সেই অবাধ বাণিজ্যে রাশ টানার পথেই হেঁটেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার সেই ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘আমেরিকার এই রক্ষণশীল মনোভাব শেষ পর্যন্ত তাদের সরকারি নীতিতে উঠে আসে কি না, তা দেখতে হবে।’’ অর্থ বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাসও বলেন, ‘‘২০০৮-এর পর মন্দার ধাক্কায় উন্নত দেশগুলি খোলা বাজার বন্ধ করে নিজেদের বাঁচাতে চাইছে। ব্রেক্সিট তারই নমুনা।’’
নয়াদিল্লি মনে করছে, এত দিন উন্নত দুনিয়া থেকে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিদেশি লগ্নি এসেছে। এখন অবাধ বাণিজ্যে বাধা পড়লে ওই সব বিদেশি লগ্নি সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় সংস্থাগুলির সংঘাত বাড়বে। বিদেশিরা সালিশির জন্য নিজেদের সালিশি কেন্দ্রেই হাজির হবে। কিন্তু সেখানকার সালিশির রায়ও উন্নত দেশগুলির পক্ষেই যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দিল্লিতে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গড়া ব্রিকস গোষ্ঠীর বৈঠকে জেটলি বলেন, এই সব দেশকে নিজেদের সালিশি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। দেশগুলির সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স তৈরিরও প্রস্তাব দেন জেটলি।