—প্রতীকী চিত্র।
সৌদি আরবে এ বার গয়না তৈরির কারখানা, বিপণি খুলতে পারেন কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য জায়গার গয়না নির্মাতারা।
সম্প্রতি মিলন মেলায় গয়না প্রদর্শনীর মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ভারতের, বিশেষ করে কলকাতার গয়না ব্যবসায়ীদের সৌদিতে কারখানা গড়ার আহ্বান জানান সে দেশের বণিকসভা ফেডারেশন অব কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান এ এস বি আল কিন্দি। জানান, তাঁদের দেশে এই শহরের কারিগরদের হাতে তৈরি গয়নার বড় চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরবে প্রতি বছরে তিন কোটি তীর্থযাত্রী আসেন। তাঁরা প্রচুর গয়না কেনেন। কলকাতা থেকে গয়না আমাদের দেশে কয়েক হাত ঘুরে পৌঁছয়। দামের একটা বড় অংশ মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যায়। ভারতীয় সংস্থাগুলি সৌদিতেই গয়না তৈরি করে বিক্রি করলে বেশি মুনাফা করতে পারবে। আমরাও দামের সুবিধা পাব।’’
প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্যোক্তা স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে-র কথায়, ‘‘গয়না কারখানা ও বিপণি খুলতে শীঘ্রই সৌদির সঙ্গে চুক্তি করব। ব্যবসার ব্যাপারে সৌদির রাজার সঙ্গে প্রধান যোগসূত্র আল কিন্দির সংগঠন।’’ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি, বুলিয়ন ও জেম অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সহযোগিতায় ‘বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল জুয়েলারি শো ২০২৩’-এর আয়োজন করেছে কেএনসি সার্ভিসেস। দেশ-বিদেশের ২৫০টি সংস্থা এতে অংশ নিয়েছে। আজ, রবিবার প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে।
সম্প্রতি নজিরবিহীন উচ্চতায় ওঠার পরে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। তবে গয়না সংস্থা জয়লুকাস ইন্ডিয়ার কর্তা জয় লুকাস বলেন, ‘‘প্রতি বছর নিট হিসাবে সোনার দাম কমপক্ষে ৫% বাড়ে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফের দাম বাড়তে পারে।’’ বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের বক্তব্য, ‘‘গয়না তৈরিতে বাংলার কারিগরদের হাতের কাজ বিশ্ব বিখ্যাত। তাদের কল্যাণের বিষয়টি আমাদের দেখা জরুরি।’’