—প্রতীকী চিত্র।
গত কয়েক বছরে অন্যান্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার মতো রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থারও গ্রাহক পরিষেবা বিস্তৃত হয়েছে। বেড়েছে গ্রাহক সংখ্যাও। সেই সূত্রে বণ্টন ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং সার্বিক ভাবে প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক ক্ষতি কমাতে নজরদারিতে জোর দিচ্ছে তারা। সংস্থা সূত্রের খবর, চালু কাঠামোয় নজরদারির ব্যবস্থায় কিছু ফাঁক রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছিল। অভিযোগ আসছিল গ্রাহক পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ারও। এগুলিকে ঠিক করার জন্য কিছু কাঠামোগত সংস্কারের পদক্ষেপ করল সংস্থাটি। সম্প্রতি চিফ এঞ্জিনিয়ারের পদটি ভেঙে দু’টি পদ তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ। সেই সঙ্গে এই দুই পদের উপরে এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) পদ তৈরির প্রস্তাবেও অনুমোদন মিলেছে।
কাঠামোগত বদলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল সংস্থার অন্দরে। সম্প্রতি সংস্থার ডিরেক্টর এ কে লাটুয়া নতুন পদগুলি তৈরির নির্দেশ জারি করেছেন। এখন সংস্থায় একটি চিফ এঞ্জিনিয়ারের পদ রয়েছে। সংস্থা সূত্রের বক্তব্য, যে ভাবে পরিষেবা বাড়ছে তাতে এক জনের পক্ষে সব দিক সামাল দেওয়া কঠিন। তাই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জন্য দু’জন চিফ এঞ্জিনিয়ার পদ সৃষ্টি করা হল। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান ও বহরমপুরের জ়োনাল ম্যানেজারেরা চিফ এঞ্জিনিয়ার ডিস্ট্রিবিউশন-সাউথের অধীনে থাকবেন। আর শিলিগুড়ির জ়োনাল ম্যানেজার সরাসরি রিপোর্ট করবেন চিফ এঞ্জিনিয়ার ডিস্ট্রিবিউশন-নর্থকে। আর এই দুই চিফ এঞ্জিনিয়ার থাকবেন এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরের অধীনে। এখনকার ইডি (আইটি) পদটি বদলে নতুন এই পদ তৈরি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বণ্টন সংস্থায় কাঠামোগত সংস্কারের যুক্তি দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, দ্রুত সংস্কারমুখী পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যের উপরে চাপ রয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধি ও আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে জোর দিচ্ছে তারা।