পড়া না-পারলে কিংবা কোনও কাজে ভুল করে ফেললে ছোটবেলায় আকছাড় মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকার বকুনি খেয়েছি আমরা। পরে ভালবেসে, বুঝিয়ে সে সব শুধরেও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বড়বেলায় লগ্নির পথে কোনও ভুল করে ফেললে অনেক সময়েই ধমকে তা ঠিক করে দেওয়ার মতো কেউ থাকেন না। সেই দায়িত্ব নিতে হয় নিজেকে। শুধু তাই নয়, সেই ভুল বোধগম্য হতে যদি তেমন দেরি হয়ে যায়, তা হলে তার মাসুলও গুনতে হয় নিজেরই কষ্ট করে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে। তাই সব থেকে ভাল হয় যদি আগেভাগেই ভুলের জায়গাগুলো বুঝে নেওয়া যায়। যাতে প্রথম থেকে এড়িয়ে চলা যায় সেই সব খানা-খন্দ। তবে এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে, লগ্নির জগতে কোনও কোনও বিষয়ে এক জনের জন্য যেটা ভুল, আর এক জনের ক্ষেত্রে সেটা ঠিকও হতে পারে। তাই ঠিক-ভুলের হিসেবটা সব সময় একটু সতর্ক হয়ে কষতে হবে। জেনে নিতে হবে কোন বয়সে কোন ভুল এড়িয়ে চলা সম্ভব।
২০-৩০
সাধারণত এই বয়সের মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে কাজের জগতে পা রাখি আমরা। অল্প হলেও টাকা জমানো শুরু করি। পঁচিশের পরে বিয়েও করেন অনেকে। চোখে থাকে স্বপ্ন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কিছুটা অসতর্ক হয়ে এমন ভুল করে বসি আমরা, যাতে পরে গিয়ে পস্তাতে হয়। এর মধ্যে আছে—
লক্ষ্য ছাড়াই সঞ্চয়
বছর শেষে পরীক্ষা আর তার পরে নতুন ক্লাসে ওঠা। অথচ সেই লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে বাবা-মা ক্লাসের শুরু থেকেই পড়তে বসিয়ে দিতেন। কখনও কখনও তা আমাদের বেশ খারাপ লাগত। কিন্তু পরীক্ষার সময় এলে বোঝা যেত প্রথম থেকে প্রস্তুত হওয়াটা কতটা জরুরি। সঞ্চয়ও ঠিক সে রকম। হয়তো গাড়ি কিনতে চান। কিন্তু তার পুঁজি তো এক দিনে হাতে আসবে না। অল্প অল্প করে হলেও জমাতে হবে। তাই এই বয়সে প্রথম ভুলই হল লক্ষ্য বেঁধে লগ্নি না-করা।
সমাধান
নিজের লক্ষ্য চিনুন। একবার সে সম্পর্কে ঠিক ধারণা তৈরি হয়ে গেলে এবং তা পূরণের জন্য কত টাকা লাগবে তা বোঝা গেলে, সেই অনুসারে টাকা রাখার কাজটাও অনেকটা সহজ হবে। না হলে এলোমেলো ভাবে টাকা ঢেলে আসল উদ্দেশ্য মাটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে মূল্যবৃদ্ধি ও কর বাদ দিয়ে রিটার্নও। দেখতে হবে শুরুর বেতনে কী ভাবে কত টাকা লগ্নি করা সম্ভব।
বন্ধুদের অনুরোধে নয়
ওর রয়েছে, আমারও চাই। এই আব্দার জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে তা-ও কিছুটা চলতে পারে। কিন্তু লগ্নির সময়ে একেবারেই নয়। বিশেষ করে লগ্নির জগতে প্রথম পা রাখে যখন কিছুটা দিশেহারা অবস্থা হয়, তখন তো আরও বেশি করে মনে রাখতে হবে এ কথা।
কোন কালে কোনও পরিচিত শেয়ারে টাকা রেখে মুনাফা করেছিলেন, এখন তিনি বলছেন সেই সংস্থার শেয়ারেই টাকা রাখতে। বন্ধুরা জোর করছে কোনও ফান্ড ভাল চলছে বলে সেখানে লগ্নি করতে। এই সব উপদেশ শুনতে পারেন। কিন্তু চোখ বন্ধ করে তা মেনে চললে মুশকিল। হয়তো পরিচিত ওই শেয়ারে টাকা রেখেছিলেন সংস্থার বাজারে নথিভুক্তির সময়ে। ফলে তিনি তার সুফল পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই সংস্থার অবস্থা ভাল নেই। সে ক্ষেত্রে কিন্তু লগ্নি করলে টাকা ডোবার সম্ভাবনা ষোলআনা। তেমনই বন্ধুদের চাহিদার এবং লক্ষ্যের লক্ষ্যে আপনার লক্ষ্য না-ই মিলতে পারে। ফলে তাঁদের কথা শুনে টাকা রাখলে সমস্যা।
সমাধান
অন্যের কথা অবশ্যই শুনুন। কিন্তু শুধু তা শুনেই টাকা রাখবেন না। বরং নিজে পড়াশোনা করে নিতে হবে। তার পরে লগ্নি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে নিতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
অস্থিরতা চলবে না
হাতে ধরা স্মার্ট ফোনের আঙুল ছুঁইয়েই সেরে ফেলা যাচ্ছে ব্যাঙ্কের কাজ। চাইলেই ঘরে এসে যাচ্ছে রেস্তোরাঁর খ
এমন একটা সময় যখন হাতে ধরা স্মার্ট ফোন ব্যাঙ্কের কাজ থেকে খাবার অর্ডার করা চাইলেই সব কিছু পাওয়া যায়, তখন কোনও কিছু পেতে অপেক্ষা করাটা অসুবিধের মনে হতে পারে। কিন্তু লগ্নির সময়েও সেই মনোভাব নিয়ে চটজলদি লাভের আশা করা কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষত যখন চার দিকে দ্রুত মুনাফার নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। খেয়াল রাখতে হবে এগুলির বেশিরভাগই কিন্তু লোক ঠকানো প্রকল্প।
সমাধান
সঞ্চয় টি-২০ নয়। বরং অনেকটা টেস্ট ম্যাচের মতো। এখানে তাড়াহুড়ো চলবে না। এখানে ধৈর্য ধরে পড়ে থাকতে পারলে বড় তহবিল গড়া সম্ভব। এটা ঠিক যে, শেয়ার বাজারে অল্প সময়ে টাকা রেখেও মুনাফা করা যায়। কিন্তু সেটা ঠিক লগ্নি নয়। আর এ জন্য যে ধরনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা লাগে, সেটা এই বয়সে সব সময়ে সম্ভব না-ও হতে পারে।
৩১-৪০
পরিবারের পুরোদস্তুর দায়িত্ব কাঁধে আসে তিরিশের পরে গিয়ে। সেই সময়ে চাকরিতে বেতন যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে খরচও। সেই সব কিছু সামলেই লগ্নি চালিয়ে যেতে হবে। তবে যদি কাজে যোগ দেওয়ার পরেই যদি শুরুটা করে ফেলা যায়, তা হলে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি তাতে দেরি হয়, তা হলে যে সমস্ত ভুল এড়াতে হবে, তার মধ্যে থাকবে—
একেবারেই ঝুঁকি না-নেওয়া
কষ্টের টাকা হারানোর ভয় সকলেই পান। সেটা স্বাভাবিকও। কিন্তু যদি দেখা যায় তিরিশের ঘরে গিয়েও লগ্নি পড়ে রয়েছে সেই পিএফ এবং স্থায়ী আমানতে, তা হলে বুঝতে হবে সময় এসেছে সেই পরিস্থিতি পাল্টানোর। নইলে পরে গিয়ে কিন্তু অথৈ জলে পড়তে হবে। তখন শখ মেটানো তো দূর, জিনিসের দাম সামলে সংসার চালানোই মুশকিল হবে।
সমাধান
অল্প করে হলেও টাকা শেয়ার বাজারে খাটান। যদি সরাসরি সেখানে লগ্নি করতে না-চান অথবা বুঝতে না-পারেন, তখন বাছতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি। সেখানে মাসের নির্দিষ্ট দিনে টাকা জমা পড়ে। ঝুঁকি শেয়ারের তুলনায় কম, কিন্তু রিটার্ন কম ঝুঁকির প্রকল্পের তুলনায় বেশি।
বিমা লগ্নি নয়
আমাদের অনেকেরই অভ্যেস হল চাকরি পাওয়ার পরে একটা জীবন বিমা কিনে ফেলা আর মনে করা যে বেশ লগ্নি করলাম। কিন্তু সেটা আদতেই লগ্নি নয়। ইউলিপ, এনডাওমেন্টের মতো কিছু বিমা প্রকল্প রয়েছে, যেগুলি কি না রিটার্নও দেয়। তবে তাকে সঞ্চয় বলা যায় না। কারণ, একে তো এতে হাতে আসা টাকা প্রথাগত লগ্নির তুলনায় কম। আবার অন্য দিকে রিটার্ন দেয় বলে অনেক ক্ষেত্রেও প্রকল্পগুলিতে বিমার সুরক্ষাও কম।
সমাধান
এটা ঠিক যে, পরিবারের জন্য জীবন বিমা অবশ্যই জরুরি। থাকতে হবে স্বাস্থ্য বিমাও। তবে পুরোটাই করতে হবে প্রয়োজন অনুসারে, এখন সংসার খরচ কত এবং আগামী দিনে তা কত দাঁড়াতে পারে সেটা দেখে। সাধারণত বলা হয় জীবন বিমার অঙ্ক হতে হবে বার্ষিক আয়ের ১০ গুণ। আর চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রে সেটা হবে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা। এই দুই বিমার সঙ্গে লগ্নিকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।
কর বাঁচাতে লগ্নি
টাকা জমানোর সময়ে বেশির ভাগ মানুষই আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকার করছাড়ের কথা ভাবেন। অথচ যাঁদের গৃহঋণ ও একটু বড় অঙ্কের এনডাওমেন্ট বা ইউলিপ বিমা প্রকল্প রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই অঙ্ক পেরিয়ে যাওয়াটা কঠিন নয়। ফলে সংসার খরচ সামলে অনেক সময় তার বাইরে গিয়ে লগ্নি করা হয় না।
সমাধান
শুধু কর বাঁচানোর কথা ভাববেন না। বরং তার বাইরে গিয়ে অন্যান্য লগ্নির পথে হাঁটুন। চাইলে চাকরি জীবনের শুরুতে এমন কিছু প্রকল্পে লগ্নি করতে পারেন, যেখানে করছাড় নেই কিন্তু রিটার্ন বেশ ভাল হতে পারে। পরবর্তীকালে বেতন বাড়লে যখন সত্যিই কর বাঁচানোর দরকার হবে, তখন না-হয় সেই পথে হাঁটলেন।
খোঁজখবর না-রাখা
কুড়ির ঘরে যে ঝুঁকিটা নেওয়া সম্ভব, তিরিশে গিয়ে সেটা করা যায় না। ফলে চাকরি জীবনের প্রথম দিকে লগ্নির ক্ষেত্রে একটু-আধটু ভুল হলেও, সময় পাওয়া যায় সেটা শুধরে নেওয়ার। কিন্তু পরে ভুল হলে তা সামলাতে হিমসশিম খেতে হয়। আর যদি না-বুঝেশুনে এবং ভাল করে না-জেনে লগ্নি করা হয়, তা হলে অনেক ক্ষেত্রে সামলানো যায়ও না। তাই শুরু থেকেই তৈরি না হলে বিপদ।
সমাধান
নিজের প্রয়োজন, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে জানুন। ঠিক কী চাইছেন তা বুঝুন। তার পরে লগ্নি করুন। বাজারে কোনও নতুন প্রকল্প এলেই তাতে টাকা ঢালার আগেও খোঁজখবর নিতে হবে সেগুলি সম্পর্কে। জানতে হবে তার অনুমোদন রয়েছে কি না, তার সুরক্ষাও। এ প্রসঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ দেওয়া যায়। যেমন এখন বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রার কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু তার কোনও স্বীকৃতি নেই। ফলে সেখানে টাকা ঢেলে পস্তানোর আগে খোঁজ নিতে হবে। তেমনই কোনও শেয়ারে টাকা ঢালার ক্ষেত্রেও বিষয়টা সত্যি।
৪০-এর পরে
লগ্নি যে কোনও বয়সেই শুরু করা যায়। কিন্তু সেটা যুক্তিযুক্ত নয়। উল্টে সব সময়েই বলা হয় যে, চল্লিশে পৌঁছনোর আগে অন্তত সঞ্চয়ের বড় অংশ করে ফেলতে হবে। এর পরে শুরু হবে তা গোছানোর পালা। অর্থাৎ, যে সমস্ত ছোটখাটো ভুল রয়েছে, সেগুলি শোধরানো। প্রকল্প অনুসারে লগ্নি বাড়ানো বা কোনও প্রকল্প থেকে তহবিল সরিয়ে আনা। এটা ঠিক যে, সকলের পক্ষে চল্লিশের আগে লগ্নি করে ফেলা নানা কারণে সম্ভব না-ই হতে পারে। কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। চেষ্টাটা থাকতে হবে। তবে ভুল যে সেখানেও হয় না, তা তো নয়। কিন্তু যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। এই বয়সে গিয়ে তা-ও টাকা জমানো নিয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। ফলে সেটাই কাজে লাগাতে হবে। সাধারণত এই সময়ে যে ভুলগুলি হয়, সেগুলি হল—
রিটার্নের ইতিহাস ও নিজের আশা গুলিয়ে ফেলা
কোনও শেয়ারের ইতিহাস দেখা ভাল। তবে সেটাই তা বাছাইয়ের একমাত্র মাপকাঠি নয় এবং সেটা দেখে ভবিষ্যতের রিটার্নেরও আশা করা ঠিক নয়। কারণ হয়তো দেখা যাবে ওই রিটার্ন পাওয়ার জন্য ৩০-৪০ বছর ধরে শেয়ার ধরে রাখা হয়েছে। কিন্তু আপনি অতটা সময় দিতে রাজি না-ই থাকতে পারেন।
সমাধান
আশা এবং বাস্তবের তফাৎটা বুঝে নিতে হবে। মনে রাখবেন, রিটার্নের পরিসংখ্যান একটা সংখ্যা মাত্র। পরিস্থিতির সঙ্গে তা বদলে যাবে। ফলে জরুরি হল শুধু রিটার্ন না-দেখে সংস্থা সম্পর্কে জানা এবং তার সম্ভাবনা বোঝা।
অবসরের তহবিল তৈরি না-করা
এখনও সময় আছে, একটু পরে করলেও চলবে। এই মানসিকতা থেকে অনেক সময়েই কাজে দেরি করে ফেলি আমরা। লগ্নির সময়ে বিশেষত অবসরের জন্য সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে এই স্বভাব দেখা যায়। তবে এই স্বভাব কিন্তু অবসরের পরের জীবনে আর্থিক সঙ্কট ডেকে আনতে পারে। তখন নিয়মিত কোনও আয় থাকবে না। ফলে সঞ্চয় ভাঙাতে হতে পারে।
সমাধান
যদি দেখা যায় চল্লিশের ঘরে গিয়েও সে ভাবে অবসরের সঞ্চয় শুরু হয়নি। তখন অবিলম্বে সেই কাজে নামতে হবে। এ জন্য দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি শুরু করুন এবং খেয়াল রাখবেন সেই টাকা অবশ্যই যেন খরচ না-হয়। দ্বিতীয়ত, বেশি বয়সে লগ্নি শুরুর কারণে খুব বেশি ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তুলনায় কম ঝুঁকির প্রকল্পে টাকা রাখতে হবে। তবে হ্যাঁ, যদি মনে করেন আপনি বেশি ঝুঁকি নিতে পারবেন, তবে সেই পথে হাঁটতে পারেন। কিন্তু বেশি লোভ না-করাই ভাল।
শেয়ার বাছাই বনাম তহবিল তৈরি
এখন ভাল করছে বলেই সেই সংস্থার শেয়ারেই টাকা ঢালব, অবসরের মুখে গিয়ে এ ভাবে ভাবলে মুশকিল। কারণ, শুরুতে যতটা ঝুঁকি নেওয়া যায় এই সময়ে গিয়ে তা একেবারেই নেওয়া সম্ভব নয়। এতে তহবিল গোছানো তো হয়ই না। উল্টে এক জায়গায় টাকা ঢেলে বিপদ ডেকে আনা হতে পারে।
সমাধান
যে কারণে এই সময়ে তহবিল গুছিয়ে আনায় আরও বেশি করে জোর দিতে হবে।
কারণ, ঝুঁকির প্রকল্প থেকে তহবিল সরিয়ে আনা এবং সেগুলি কম ঝুঁকির প্রকল্পে রাখার কাজটা করতে হবে। তবে সেটা চল্লিশের গোড়াতেই না-করলেও চলবে। ৫০-র কোঠায় পৌঁছে করলেও হবে।
শেষপাত
ভুল হবেই। তা মেনে নিয়েই চলতে হবে। শুধু দেখতে হবে সেই ভুল যেন ইচ্ছাকৃত, গড়িমসি করে না-হয়। বাইরের কোনও কারণে লগ্নিতে ধস নামলে কিছু করার থাকে না। নিজের ভুলে খামোখা বিপদ ডেকে আনবেন কেন?
লেখক ব্যাঙ্কবাজার ডট কমের সিইও
(মতামত ব্যক্তিগত)