‘মিকি মাউস’-এর ঘরে এল ‘অবতার’।
রুপার্ট মার্ডকের হাতে গড়া ২১ সেঞ্চুরি ফক্সের সিনেমা, বিনোদন ব্যবসা ৫,২৪০ কোটি ডলারে (প্রায় ৩,৪০,৬০০ কোটি টাকা) কিনে নিতে চুক্তি করল ওয়াল্ট ডিজনি। আর সেই সঙ্গেই তাদের হাতে এল ভারতে স্টার টিভি নেটওয়ার্ক, ইউরোপে স্কাইয়ের টিভি ব্যবসা, ২০ সেঞ্চুরি ফক্সের আওতায় থাকা টাইটানিক, এক্স-মেনের মতো সমস্ত সিনেমা, হুলুর মতো নেটে বিনোদনের অ্যাপও।
২১ সেঞ্চুরি ফক্স
•
তৈরি: ২০১৩ (নিউজ কর্পোরেশন ভেঙে)
•
প্রতিষ্ঠাতা: রুপার্ট মার্ডক
•
ব্যবসা: ৭০০ কোটি ডলার (৪৫,৫০০ কোটি টাকা) *
•
কর্মী: ২১,৫০০ (২০১৬)
•
সম্পদ: সিনেমা, সংবাদ মাধ্যম ও টিভি চ্যানেল, নেট বিনোদনের অ্যাপ
ব্যস্ত জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেব্লের ভরসায় না-থেকে মুঠোবন্দি স্মার্ট ফোনেই টিভি, সিনেমা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে নতুন প্রজন্ম। সেই চাহিদা পূরণ করতে মাঠে নেমেছে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, গুগ্ল, অ্যাপল, ফেসবুকের মতো সংস্থা। সেই নেট বিনোদনের অ্যাপগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে ক্রমশ ব্যবসার ধরন পাল্টাতে হচ্ছে প্রথাগত টিভি ও সিনেমা সংস্থাকে। তারই প্রতিফলন এ দিনের চুক্তিতে দেখা গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যেখানে ডিজনি পাবে ফক্সের বিনোদন সম্ভার। আর ফক্স মন দিতে পারবে নিজেদের সংবাদ মাধ্যম এবং টিভিতে।
ওয়াল্ট ডিজনি
•
তৈরি: ১৯২৩ (প্রথমে নাম ছিল ডিজনি ব্রাদার্স কার্টুন স্টুডিও)
•
প্রতিষ্ঠাতা: ওয়াল্ট ডিজনি এবং রয় ও ডিজনি
•
ব্যবসা: ১,২৭৮ কোটি ডলার (৮৩,০৭০ কোটি টাকা) *
•
কর্মী: ১,৯৫,০০০ (২০১৬)
•
সম্পদ: অ্যানিমেশন-সহ সিনেমা, থিম পার্ক, কার্টুন ইত্যাদি
* সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের হিসেব
মাত্র ২১ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্র দিয়ে কর্মজীবন শুরু মার্ডকের। পরবর্তীকালে একের পর এক অধিগ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসা ছড়িয়েছেন প্রায় ৫০টি দেশে। আর মিকি-ডোনাল্ড ডাকের কার্টুন দিয়ে শুরু করা ওয়াল্ট ডিজনি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিডিয়া সংস্থা। সঙ্গে রয়েছে লায়ন কিঙ্গ, দ্য জঙ্গল বুকের মতো অ্যানিমেশন সিনেমা, মার্ভেল ও পিক্সারের মতো সিনেমা স্টুডিও, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ডিজনি থিম পার্কের মতো ব্যবসা।