এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আর্জি মেনে নিল কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় চলা মামলা বিচারের বিশেষ আদালত। বিজয় মাল্যকে সরকারি ভাবে অভিযুক্ত ঘোষণা করল তারা।
আইডিবিআই ব্যাঙ্ক থেকে কিংগ্ফিশারের ধার নেওয়া ৯০০ কোটি টাকার একাংশ নয়ছয় করার অভিযোগে সংস্থার কর্ণধার বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। সেই সূত্রেই মঙ্গলবারের এই ঘোষণা। সরকারি ভাবে অভিযুক্ত ঘোষণার ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৮২ নম্বর ধারায় ওই নির্দেশ জারির আর্জি নিয়ে দু’দিন আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এ দিন ওই আদালতের বিশেষ বিচারপতি পি আর ভাবকে-ও বলেন, ইডি-র আবেদন মেনেই মাল্যের বিরুদ্ধে এই ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
বস্তুত, কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সত্ত্বেও তিনি ফেরার বলে প্রমাণিত হলে তাঁকে অভিযুক্ত ঘোষণা করতে পারে আদালত। এবং ৮২ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্দেশ জারির অর্থ, সেই ঘোষণা লিখিত ভাবে হবে এবং অভিযুক্তকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে হবে। মাল্যের বিরুদ্ধে সেই আবেদনই জানিয়েছিল ইডি। তাদের দাবি, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দেশে ফেরানোই এর মূল লক্ষ্য। মাল্য সেই নির্দেশ না-মানলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৮৩ নম্বর ধারা কার্যকরের আবেদন করা হতে পারে। যার হাত ধরে ফেরার ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়।
এ দিকে এ দিনই ৯১৩টি ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছে পিএনবি। যারা মোট ১১,৪৮৬ কোটি টাকার ঋণ বাকি ফেলেছে। এর মধ্যে শীর্ষে মাল্যের কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স। বকেয়া ৫৯৭.৪৪ কোটি।