নিজে থেকে এখনই বিজয় মাল্যকে ভারতে ফেরত পাঠাবে না ব্রিটিশ সরকার। ভারতে চার্জশিট দাখিল করা হলে এবং আইন মোতাবেক সব ব্যবস্থা নেওয়া হলে তবেই তাঁর প্রত্যর্পণ সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা। তবে একই সঙ্গে মাল্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটেন। তাদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চার্জশিট দাখিলের পরে মাল্যের প্রত্যর্পণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বুধবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
এ দিন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ১৯৭১ সালের অভিবাসন আইন অনুসারে মাল্যকে ভারতে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে ব্রিটেন। ওই আইন অনুযায়ী ব্রিটেনে থাকা কোনও ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল হলেও, নিজে থেকে সেই ব্যক্তিকে ফেরাতে বাধ্য নয় সেখানকার সরকার। কারণ, তিনি ব্রিটেনে আসার সময়ে পাসপোর্ট বৈধই ছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই মাল্যকে ভারতে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্যের পরে এ বার ১৯৯৩ সালের ভারত-ব্রিটেন প্রত্যর্পণ আইন অথবা ১৯৯২ সালের পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট মহলের ইঙ্গিত।
এ দিকে, ভারতে মাল্যের ৯ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে এগোচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইতিমধ্যেই কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনের আওতায় দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মাল্যের বিভিন্ন সম্পত্তির বাজার দর খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। একই সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকেও মাল্যের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেছে তারা।