লেনদেন নেই দীপকের সঙ্গে: ধুত

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে ২০১২ সালে ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ৩২৫০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গেই এ বার মুখ খুললেন ভিডিওকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘দু’জন মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময়েই ফৌজদারি অপরাধে ইন্ধন জোগায় না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৪
Share:

ভিডিওকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত। —ফাইল চিত্র।

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে ২০১২ সালে ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ৩২৫০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গেই এ বার মুখ খুললেন ভিডিওকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘দু’জন মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময়েই ফৌজদারি অপরাধে ইন্ধন জোগায় না।’’

Advertisement

ব্যাঙ্কের সিইও চন্দা কোছরের স্বামী দীপক কোছর, ওই ব্যাঙ্কের বেশ কয়েক জন অফিসার ও ভিডিয়োকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’ বা ‘ফৌজদারি’ অপরাধ নজরে এলে তা তদন্তের জালে আনা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই। এই পরিপ্রেক্ষিতে ধুতের দাবি, দীপকের সংস্থা নিউ পাওয়ার রিনিউয়েব্‌ল্‌স-এ প্রাথমিক ভাবে ২.৫ লক্ষ টাকা লগ্নির বাইরে তাঁর সঙ্গে কোনও লেনদেনই হয়নি।

নিউ পাওয়ারে তাঁর ৬৪ কোটি টাকা ঢালা-সহ সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা সবই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন ধুত। তাঁর কথায়, ‘‘দীপকের সঙ্গে খোলাখুলি লেনদেন হয়েছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি, করবও না। প্রথমে নিউ এনার্জিতে ২.৫ লক্ষ লগ্নি করেছিলাম, পরে তা তুলেও নিয়েছি। এখন আমাদের মধ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন নেই।’’

Advertisement

চন্দা কোছরও ‘বেআইনি’ কিছু করেননি বলে দাবি ধুতের। তাঁর সংস্থাকে ঋণ দিতে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক যে কমিটি গড়েছিল (যারা ৩২৫০ কোটি ঋণ অনুমোদন করে), তার ১২ জন সদস্যের মধ্যে ছিলেন কোছর। ধুতের দাবি, ‘‘১২ জনের প্রত্যেককেই চিনতাম। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে ভি কামাথের (ওই কমিটির প্রধান) সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতাম।’’ এ প্রসঙ্গেই ধুত বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেই তাঁদের যোগসাজশে ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা ঘটবে, এই ধারণা ঠিক নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement