নজরে: ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি চিনফিং। বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধান খুঁজতে সময়সীমা চূড়ান্ত করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। কিন্তু হুয়েই কাণ্ডের ফলে মেঘ ঘনিয়েছে সন্ধির উদ্যোগে।
বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধানের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা চূড়ান্ত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। সেই লক্ষ্যে বুধ এবং বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে একগুচ্ছ বৈঠক করবে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি-এর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন চিনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বৈঠকের ঠিক আগে চিনা মোবাইল ফোন সংস্থা হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা শুরু করল মার্কিন বিচার বিভাগ। ফলে এর প্রভাব বৈঠকে পড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
হোয়াইট হাউস অবশ্য বৈঠকের সময়ের সঙ্গে হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে মামলার যোগাযোগের জল্পনার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু চিনের বিদেশ দফতর আজই কড়া বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কয়েকটি চিনা সংস্থার ক্ষতি করার জন্য আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে এবং রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করছে।
হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তথ্য চুরির অভিযোগ করে আসছে আমেরিকা। এ দিন যে দু’টি মামলা শুরু হয়েছে, তাতেও মার্কিন সংস্থা টি-মোবাইলের গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে চিনা সংস্থাটির বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, টি-মোবাইলের ফোন টেস্টিং রোবটের ছবি তুলেছে হুয়েই। চিনে সেই প্রযুক্তি তৈরির উদ্দেশ্যে সেই রোবট চুরিও করেছে তারা। আনা হয়েছে অন্য সংস্থা থেকে প্রযুক্তি চুরিকরতে কর্মীদের ব্যবহার করা এবং বোনাসের টোপ দেওয়ার অভিযোগও।
সেই সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে ব্যবসা চালানো এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য গোপনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে। এর জেরে গত মাসে কানাডায় গ্রেফতার করা হয় সংস্থার সিএফও মেং ওয়াংঝউকে। মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত আলোচনা কোন দিকে গড়ায়, তা কিছুটা পরিষ্কার হবে দু’দিনের মধ্যেই।