Nirmala Sitharaman

শীর্ষ ব্যাঙ্কের বার্তা সত্ত্বেও দাম নিয়ে আশ্বাস নির্মলার

দেশীয় মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, নিত্য ব্যবহারযোগ্য আনাজগুলির দাম বৃদ্ধির ফলে নভেম্বরে সারা দেশে নিরামিষ ও আমিষ থালি রান্নার খরচ বেড়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৯
Share:
An image of Nirmala Sitharaman

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

পেঁয়াজের দাম কমার পরেও কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকা। রসুন ৩০০-৩৫০ টাকা। শীতকাল পড়ে গেলেও স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে না অন্যান্য আনাজ। দেশীয় মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, নিত্য ব্যবহারযোগ্য আনাজগুলির দাম বৃদ্ধির ফলে নভেম্বরে সারা দেশে নিরামিষ ও আমিষ থালি রান্নার খরচ বেড়েছে। এমনকি, ঋণনীতি ঘোষণা করতে গিয়ে খোদ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে ফের এক বার খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা তোলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের গলায় আত্মবিশ্বাস। তাঁর দাবি, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি এখন স্থিতিশীল। বিশ্ব পরিস্থিতির ফলে জোগান-চাহিদার ভারসাম্যের অভাব এবং বিরূপ আবহাওয়া পরিস্থিতি কখনও-সখনও ঠেলে তুলছে তাকে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নভেম্বরের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশ হবে।

আজ লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নির্মলা জানান, ২০২২ সালের এপ্রিল-অক্টোবরে দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৭.১%। এ বছর একই সময়ে তা নেমেছে ৫.৪ শতাংশে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘খুচরো মূল্যবৃদ্ধি এখন স্থিতিশীল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমার (২%-৬%) মধ্যে। খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি বাদে বাকি সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি (কোর ইনফ্লেশন) ধারাবাহিক ভাবে কমা তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।’’ ২০২৩ সালের এপ্রিলে কোর ইনফ্লেশন ৫.১% ছিল। যা অক্টোবরে ৪.৩ শতাংশে নেমেছে।

এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নামলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। তাকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য। অর্থমন্ত্রী জানান, খাবারদাবারের দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রমাগত পদক্ষেপ করে চলেছে কেন্দ্র। বাজারে জোগান বাড়ানোর জন্য সরকারি গুদামে সেগুলির মজুত বাড়ানো হচ্ছে। কমানো হচ্ছে আমদানির কড়াকড়ি। এ দিকে, বাজারে জোগান বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষিদের মধ্যে। সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের আশ্বাস, চাষিদের বিক্রি না হওয়া পেঁয়াজ কিনে নেবে কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন