অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
অন্তর্বর্তী বাজেটে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের বাজেটে নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় বুধবার। তবে কেন্দ্র জানিয়েছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জবাব দেবেন শুধু জম্মু-কাশ্মীরের বাজেট সংক্রান্ত বিতর্কের। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় অর্থমন্ত্রী আচমকাই পুরো অন্তর্বর্তী বাজেটে নিয়ে জবাবি ভাষণ দিতে শুরু করেন। তখন বিরোধী সাংসদদের সিংহভাগই ছিলেন অনুপস্থিত। শুধু তা-ই নয়, তার পরে হঠাৎ শুরু হয়ে যায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনা। এ দিন রাতে পাশ করানো হয় সেটিও। সে জন্য প্রথা ভেঙে অর্থমন্ত্রীর বদলে জবাব দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী। গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফাঁকা মাঠে জবাব দিয়েছেন নির্মলা।’’
অর্থমন্ত্রী এ দিন ফের বলেছেন, দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি স্থিতিশীল হয়েছে। রয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২%-৬% সহনসীমার মধ্যেই। ২০২২-এর এপ্রিল-ডিসেম্বরে ছিল ৬.৮%। গত বছর ওই সময়ে নেমেছে ৫.৫ শতাংশে। তাঁর দাবি, জরুরি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র পদক্ষেপ করেছে। যেমন, পেঁয়াজের মজুতের পরিমাণ বাড়িয়েছে। ভারত ব্র্যান্ডের আওতায় সস্তায় আটা, ডাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। কর্মী সংখ্যা বাড়ায় বেকারত্ব চোখে পড়ার মতো কমেছে বলেও দাবি নির্মলার। তুলে ধরেন পিএফে সদস্য সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির তথ্যকে।
সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর দাবি, সামাজিক ক্ষেত্রে খরচের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বাজেটে। রাজকোষ ঘাটতি এ বছর ৫.৮ শতাংশে ও পরের অর্থবর্ষে ৫.১ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য বাঁধা হয়েছে। তাঁর আশা, টানা চার বছর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশের বেশি।