বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। — ফাইল চিত্র।
গত কয়েকটি অর্থবর্ষে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে আসতে হয়েছে কেন্দ্রকে। কয়েকটির ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়নি। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে যে সমস্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে শুধু সেগুলির বিক্রির প্রক্রিয়াই জারি রাখা হবে। বাজেটে এই তালিকায় নতুন কোনও সংস্থার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
গত বাজেটে বিলগ্নির মাধ্যমে ৬৫,০০০ কোটি টাকা তোলার কথা বলেছিল কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত ৩১,১০৬ কোটি এসেছে। চলতি অর্থবর্ষেও ব্যর্থ হলে টানা চার বছর বিলগ্নির লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না মোদী সরকার। ২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সফল হওয়ার পর থেকে এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি কেন্দ্র। লগ্নিকারীরা উৎসাহ না দেখানোয় ভারত পেট্রলিয়াম বিক্রির প্রক্রিয়া থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা বেচার পরিকল্পনা করা হলেও সেই কাজ এগোয়নি।
সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বাজেটেবিলগ্নির লক্ষ্য কমানো হতে পারে। করা হতে পারে আরও ‘বাস্তবমুখী’। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। বেসরকারিকরণের গতি কমানোর সেটাও বড় কারণ। এক সরকারি কর্তার কথায়, ‘‘যে সমস্ত সংস্থার বেসরকারিকরণে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্মতি দিয়েছে, আপাতত সেগুলি নিয়ে এগোনো হবে।’’ তালিকায় রয়েছে শিপিং কর্পোরেশন, এনএমডিসি স্টিল, বিইএমএল, এইচএলএল লাইফকেয়ার, কন্টেনার কর্পোরেশন এবং আরআইএনএল। এর পাশাপাশি আইডিবিআই ব্যাঙ্কে নিজেদের অংশীদারি বেচবে সরকার।