প্রতীকী ছবি
নতুন দেউলিয়া আইন বা ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি অ্যাক্ট-এর আওতায় নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০টির বেশি সংস্থা জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এর কাছে আবেদন করেছে। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এম এস সাহু।
নতুন দেউলিয়া আইন নিয়ে বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত সভায় সম্প্রতি সাহু বলেন, ‘‘গত ২০ মে আইনটি চালু হওয়ার পরে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ১১০টি সংস্থা এনসিএলটির কাছে আবেদন করেছে।’’ প্রসঙ্গত, দেউলিয়া আইন কার্যকর করা এনসিএলটি-র দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাদের কাছেই সংস্থা পুনরুজ্জীবন বা গুটিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংস্থাটিকে চাঙ্গা করা বা সেটির ঝাঁপ বন্ধ করার ব্যাপারে এনসিএলটি-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
সাহুর ধারণা, দেউলিয়া আইনের সুযোগ নিয়ে এ বার ব্যাঙ্কগুলিও তাদের অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেউলিয়া আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১২টি ঋণ-খেলাপি সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
এ দিকে, কিছু সংস্থার ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে এনসিএলটিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্করাপসি বোর্ড নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রসঙ্গত জানান সাহু। দেউলিয়া আইনটি চালু হওয়ার সময়ে বলা হয়েছিল, ১৮০ দিনের মধ্যে এনসিএলটিকে সংস্থা চাঙ্গা করা বা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাহু জানান, ৯০ দিনে যে-সব ধরনের সংস্থার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থা, যেগুলির মূলধন ৫০ লক্ষ টাকার কম এবং বছরে মোট আয় ২ কোটি টাকার নীচে।
এ ছাড়া ওই তালিকায় রয়েছে সেই সব সংস্থা, যেগুলি শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত নয় এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি টাকার কম। ৫ বছরের কম পুরনো এবং বছরে মোট আয় ২৫ কোটি টাকার নীচে, এমন স্টার্ট-আপ সংস্থার ক্ষেত্রেও ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এনসিএলটিকে।