প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময়ে জিএসটি সংগ্রহ ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছে। কমেছে সেস সংগ্রহও। রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। এই অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছেন, ওই ক্ষতিপূরণ মেটানোর দায় কেন্দ্রের নয়। জিএসটি পরিষদের। এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধী তরজা। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের অভিযোগ, রাজ্যের জিএসটি ক্ষতিপূরণ না-মেটানো সংবিধান লঙ্ঘন তো বটেই, তা ‘সার্বভৌম খেলাপ’-এর পর্যায়েও পড়বে।
মার্চের পর থেকে রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ আর ক্ষতিপূরণ মেটায়নি কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ জানিয়েছে, ওই খাতে প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। বৃহস্পতিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠক। সেখানে এই ক্ষতিপূরণই একমাত্র আলোচ্য বিষয়। তার আগে মঙ্গলবার পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দাবি তুলেছে, লকডাউনের ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির প্রায় ছ’লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে অনুমান। কেন্দ্র তা মিটিয়ে দিক। সেই সঙ্গে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানোর মেয়াদ পাঁচ বছরের বদলে ১০ বছর করা হোক।
মনপ্রীত বলেন, “অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে গিয়ে মত চাইছেন যে, ক্ষতিপূরণ মেটানোর কোনও দায় নেই। এতে আমাদের ঘোর আপত্তি রয়েছে। কারণ এটা সংবিধানের অঙ্গ।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিরও সরকার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু সেই অর্থমন্ত্রীদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন অবশ্য বিহারের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেছেন, ‘‘ক্ষতিপূরণ দেওয়া কেন্দ্রের নৈতিক দায়িত্ব। রাজ্যকে ধার করতে না-বলে কেন্দ্রই কম সুদে ধার করে রাজ্যকে দিতে পারে।’’ কংগ্রেসের যুক্তি, কেন্দ্রের হাতে অর্থ না-থাকলে তারা টাকা ছাপাতেও পারে।
এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ টুইট করে জানিয়েছেন, জিএসটি চালুর পর থেকে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার করের বোঝা অনেকটাই কমেছে। আগামী দিনে মোটরবাইক-স্কুটারের মতো দু’চাকার যানেরও জিএসটি কমানোর প্রস্তাব আসছে। নির্মলা বলেন, বাইক-স্কুটার বিলাসবহুল বা ক্ষতিকারক পণ্য নয়। ১৯ সেপ্টেম্বর জিএসটি পরিষদের বৈঠকে সেগুলির করের হার কমানোর প্রস্তাব উঠতে পারে।