সংসদে আলোচনা চলাকালীন ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে ফোন এসেছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দিনে এ ধরনের চার-পাঁচটা ফোন পান নিয়মিত। একই অভিজ্ঞতা সাধারণ মানুষেরও। বিপণনমূলক (টেলি মার্কেটিং) ফোন অথবা এসএমএস আসার হাত থেকে রেহাই পান না প্রায় কেউই। এই ঘটনা ঘটে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’-এ মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত থাকলেও। এর থেকে স্বস্তি দিতে মঙ্গলবার নিয়ম ভাঙা সংস্থাগুলিকে মাসে সর্বোচ্চ ৭৬ লক্ষ টাকা জরিমানার প্রস্তাব আনল ট্রাই। একই সঙ্গে সুপারিশ করল ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য।
ট্রাইয়ের বক্তব্য, ব্লকচেন প্রযুক্তিতে সহজেই বোঝা যাবে, কে ওই ধরনের ফোন অথবা এসএমএস পাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আর কে দেননি। একই সঙ্গে, কোন মোবাইল পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে কোন টেলি মার্কেটিং সংস্থা জোট বেঁধেছে, বোঝা যাবে তা-ও। ট্রাইয়ের দাবি, গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করবে এই প্রযুক্তি।
নিয়ম ভাঙলে টেলি সংস্থাগুলিকে দিনে ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করার সুপারিশও করেছে ট্রাই। ৩০ দিন পরেও এই অবস্থা চললে সেই অঙ্ক বেড়ে হবে দিনে ২০,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা)। কোনও টেলি মার্কেটিং সংস্থা নিয়মের বাইরে গেলে তাদেরকে জরিমানা করতে পারবে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। আর এ সবের পরেও যদি এই ধরনের ফোন বা এসএমএস ঠেকাতে তারা ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপে প্রতিবার নিয়ম ভাঙার জন্য জরিমানা গুনতে হবে। এ ভাবে মাসে সর্বোচ্চ ৭৬ লক্ষ টাকা জরিমানার প্রস্তাব টেলি নিয়ন্ত্রকের।