প্রতীকী ছবি।
গুরু পাপে লঘু দণ্ড। ই-বাণিজ্য সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘ই-কমার্স সাইট’ অ্যামাজনকে মাত্রা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ (সিএআইটি) কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
ই-বাণিজ্য সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্তা যে পণ্য বিক্রি করবে সেটি কোন দেশে উৎপাদিত, তা জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু অ্যামাজন সেই আইন মানেনি। সিএআইটি-র মতে এটি গুরুতর শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনা। তাই এ ক্ষেত্রে, শাস্তির মাত্রা অনেক বেশি হওয়া উঠিত।
সিএআইটি-র তরফে শুক্রবার প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও সংস্থা .যাতে ভবিষ্যতে ই-বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি ভঙ্গ করার সাহস না দেখায়, সেই উদ্দেশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। যৎসামান্য আর্থিক জরিমানা এ ক্ষেত্রে মোটেই যথেষ্ট শাস্তি নয়’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ (স্থানীয় সংস্থাগুলির স্বার্থে পদক্ষেপ করা) নীতি গ্রহণের কথা বলেছিলেন, সে কথাও সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ওই বণিক সংগঠন।
সিএআইটি-র সভাপতি বি সি ভারতীয়া এবং সচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দেশের আইন অমান্যের দায়ে এমন নামমাত্র শাস্তি ভারতীয় বিচার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিহাস’। অ্যামাজনকে ৭ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা এবং জরিমানার অঙ্ক বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিল্লির স্টেডিয়ামে জেল, কেন্দ্রীয় প্রস্তাব খারিজ কেজরীবালের
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর ই-বাণিজ্য আইন ভাঙার দায়ে অ্যামাজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সংস্থা মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে আইন মেনে ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়নি। একই অভিযোগে কৈফিয়ত তলব করা হয় ই-বাণিজ্য সংস্থা ফ্লিপকার্টের কাছেও। ই-বাণিজ্য সংস্থাগুলির উপর নিয়মিত নজরদারির জন্য প্রতি রাজ্যের সরকারকে বার্তাও পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) অ্যামাজনের জরিমানা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিতেই মালদহের তৃণমূল নেতাদের কলকাতায় তলব