Trade Union

আন্দোলনের হুমকি শ্রমিক সংগঠনগুলির

শ্রম ক্ষেত্রের ৪৪টি আইনকে একত্রিত করে চারটি বিধি তৈরি করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের দাবি, তারা সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংসদে চারটি শ্রম বিধি পাশ হয়েছে কৃষি বিল পাশের প্রায় কাছাকাছি সময়ে। কৃষি বিল খারিজের দাবিতে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই শ্রম বিধিগুলি কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব অপূর্ব চন্দ্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ওই সমস্ত বিধির আওতায় যে নিয়মগুলি (রুল) রয়েছে, শীঘ্রই সেগুলির বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলির অবশ্য অভিযোগ, নতুন নিয়ম দেশের শ্রম ক্ষেত্রে অশান্তি ডেকে আনবে। নষ্ট হবে কর্ম ক্ষেত্রে শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দের পরিবেশ। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে বড় শ্রমিক আন্দোলনের পথে যেতে পারেন তাঁরা।

Advertisement

শ্রম ক্ষেত্রের ৪৪টি আইনকে একত্রিত করে চারটি বিধি তৈরি করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের দাবি, তারা সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এ বার বিজ্ঞপ্তি জারির পালা। শ্রম যেহেতু যৌথ তালিকাভুক্ত, কয়েকটি নিয়ম তৈরি করতে হবে রাজ্যগুলিকেও।

এ ব্যাপারে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘‘বিধিগুলি নিয়ে আমাদের কোনও পরামর্শই কেন্দ্র গ্রহণ করেনি। এক তরফা ভাবে বিধি এবং নিয়ম তৈরি করে কার্যকর করতে চলেছে। বহু ক্ষেত্রেই সেগুলি শ্রমিক স্বার্থের পরিপন্থী। আমাদের আশঙ্কা, নিয়মগুলি কার্যকর করতে গেলে কল-কারখানায় শ্রম বিরোধ বাড়বে।’’ একই অভিযোগ এআইইউটিইউসি-র সভাপতি শঙ্কর সাহা, ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ এবং আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামারের। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘শ্রমবিধি সংক্রান্ত নিয়মগুলি কয়েকশো পাতার। সরকার চেয়েছিল সেগুলি নিয়ে এক দিনেই আলোচনা সারতে। উদ্দেশ্য ছিল, কোনওক্রমে বিষয়গুলি সংগঠনগুলিকে ছুঁইয়ে দায়িত্ব সেরে ফেলা।’’ অশোকবাবু জানান, সে কারণেই শ্রম মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে তাঁরা যোগ দেননি। লিখিত ভাবে বক্তব্য জানিয়েছিলেন। কেন্দ্র তোয়াক্কা করেনি।

Advertisement

আরএসএস ঘনিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের বক্তব্য অবশ্য আলাদা। বিধি ও নিয়মগুলি নিয়ে কেন্দ্র তাদের দাবিকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে, তা আগে দেখতে চায় তারা। তার পরে প্রয়োজনে ফের আলোচনার দাবি জানানো হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় সিংহ বলেন, ‘‘শ্রমবিধি নিয়ে প্রথম থেকেই আন্দোলন ও আলোচনার নীতি নিয়ে চলেছি। শ্রমমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম। সরকারকে লিখিত পরামর্শ দিয়েছি। সরকার তার কতটা গ্রহণ করল দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement