Tourism Industry

বাজেটে উপেক্ষিত, নালিশ পর্যটনের

অনেকেই এখন কাজে বেরোচ্ছেন, কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার আগে হাজার বার ভাবছেন। ফলে তাদের ব্যবসা হচ্ছে নামমাত্র।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা রুখতে মানুষ ঘরবন্দি হওয়ায় তাদের ব্যবসায় তালা ঝুলেছিল। যা এখনও তেমন খোলেনি। বিপর্যস্ত পর্যটন ও আতিথেয়তা ক্ষেত্রের (হোটেল-রেস্তরাঁ) সংগঠনগুলির অভিযোগ, ঘুরে দাঁড়াতে বাজেটই ছিল ভরসা। কিন্তু সেখানেও বরাতে জুটেছে উপেক্ষা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের আনা আর্থিক প্যাকেজগুলির মতোই। সঙ্কট থেকে বেরোতে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তারা।

Advertisement

পর্যটন-আতিথেয়তা ক্ষেত্রের দুই সংগঠন এফএআইটিএইচ এবং এফএইচআরএআই-এর দাবি, করোনার ধাক্কা সব থেকে বেশি লেগেছে তাদের। অনেকেই এখন কাজে বেরোচ্ছেন, কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার আগে হাজার বার ভাবছেন। ফলে তাদের ব্যবসা হচ্ছে নামমাত্র। বহু পর্যটন সংস্থা, হোটেল, রেস্তরাঁর ঝাঁপ বন্ধ। অনেকগুলি বন্ধ হওয়ার মুখে।

এফএইচআরএআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরবক্সিশ সিংহ কোহলির বক্তব্য, ‘‘বিদেশি পর্যটন স্তব্ধ। মোট ব্যবসা করোনার আগের ২৫ শতাংশের থেকেও কম। টিকে থাকা নিয়েই সঙ্কটে। অথচ আশ্চর্ষজনক ভাবে বাজেটে আমাদের কথা উল্লেখই করলেন না অর্থমন্ত্রী!’’

Advertisement

কর্মসংস্থানের বৃহত্তম সূত্র হয়েও কেন বঞ্চিত, প্রশ্ন এফএআইটিএইচ-এর চেয়ারম্যান নকুল আনন্দ ও সেক্রেটারি সুভায গয়ালের। তাঁদের আক্ষেপ, ‘‘বাজেটে পরিকাঠামো ও ট্রেনে বাড়তি ‘ট্যুরিস্ট কোচ’-এর মতো যে সব বলা হয়েছে, তার সুফল মিলতে সময় লাগবে। কিন্তু ততদিন ব্যবসা টিকবে তো? একে তো কিছুই মেলেনি, উল্টে কৃষি সেস বাড়তি বোঝা চাপিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি।’’

শিল্পকর্তারা বিস্মিত এই ভেবে যে, ত্রাণ প্রকল্পের সময় থেকেই বারবার বিশদে সব সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। বাজেটের আগে দাবিসনদেও সে সব ছিল। অথচ বাজেট প্রস্তাবের কোনও পাতার একটি লাইনেও ঠাঁই মেলেনি পর্যটনের, এই বাস্তব যেন অবিশ্বাস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement