কোন ‘মাছ’ কিনবেন, ভাবুন আগেই

বাজারে যাঁদের আস্থা আছে, তাঁরা এই সময়ে শেয়ার কেনেন ও ভাল লাভের মুখ দেখেন। এই দুটি বাধা কাটিয়ে বাজার আবার এখন ঊর্ধ্বমুখী। ফের ৩২ হাজার ছোঁয়ার মুখে সেনসেক্স। নিফ্‌টিও পৌঁছেছে ১০ হাজারের দোরগোড়ায়।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৬
Share:

পরপর দু’সপ্তাহ ধরে বাজার সুযোগ করে দিয়েছিল হঠাৎ পড়ে যাওয়া দামে শেয়ার কেনার ও ছোট মেয়াদে লাভ ঘরে তোলার। প্রথমটি ঘটেছিল ইনফোসিস থেকে বিশাল সিক্কার পদত্যাগ ও পরেরটি জাপানের উপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় বিশ্ব বাজারের পতনে। সূচক দু’বারই হঠাৎ পড়েছিল বেশ খানিকটা করে। দু’বারই কিন্তু বাজার ঘুরে দাঁড়ায় কালো মেঘ দ্রুত সরে যাওয়ায়।

Advertisement

বাজারে যাঁদের আস্থা আছে, তাঁরা এই সময়ে শেয়ার কেনেন ও ভাল লাভের মুখ দেখেন। এই দুটি বাধা কাটিয়ে বাজার আবার এখন ঊর্ধ্বমুখী। ফের ৩২ হাজার ছোঁয়ার মুখে সেনসেক্স। নিফ্‌টিও পৌঁছেছে ১০ হাজারের দোরগোড়ায়।

তবে রবিবার উত্তর কোরিয়ার শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, জাপানের মতো দেশ বিষয়টিকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে। আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। ফলে নানা কারণেই দেখতে পাব ছোট-বড় সংশোধন।

Advertisement

সংশোধনই সুযোগ করে দেয় কম দামে ভাল শেয়ার ধরার। তাই কোন ‘মাছ’ কিনবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। অপেক্ষা করুন পরের পতনের জন্য। চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর করুন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে।

গাড়ি শিল্পের ছবি

সংস্থা অগস্টে বিক্রি বৃদ্ধি /(-) হ্রাস

• মারুতি-সুজুকি ১,৬৩,৭০১ ২৩.৮

• টাটা মোটরস ৪৮,৯৮৮ ১৩.৬

• হুন্ডাই ৪৭,১০৩ ৯.০

• হোন্ডা ১৭,৩৬৫ ২৪.৫

• ফোর্ড ১৫,৭৪০ (-)৪০.৪

• টয়োটা ১৩,০৮১ (-)৬.৮৬

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। নেমেছে ৫.৭ শতাংশে। যা তিন বছরে সবথেকে কম। নোট বাতিলের পরে জানুয়ারি থেকে মার্চেও বৃদ্ধি ছিল ৬.১%। বাজার অবশ্য এই খবরে হতাশ নয়। তাদের জানাই ছিল, নোট বাতিল ও জিএসটি চালুর কারণে ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন।

প্রথম দু’মাসে জিএসটি বাবদ সরকারের আয় অবশ্য ভালই হয়েছে। দেশ জুড়ে ভাল বর্ষার সুবাদে কৃষি উৎপাদন ভালই হবে বলে আশা। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে পণ্যমূল্য। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মন্দ নয়। অগস্টে গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয়, জিএসটির সমস্যা কাটিয়ে শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

ভারতীয় মুদ্রায় ডলারের দাম নেমেছে ৬৪ টাকায়। আমদানি-নির্ভর শিল্পের জন্য যা ভাল খবর। রফতানি-প্রধান শিল্প অবশ্য এতে কিছুটা আঘাত পাবে। পুজোয় যাঁরা বিদেশে বেড়াতে যাবেন, ডলার কেনা বাবদ তাঁদের খরচ কিছুটা কমতে পারে।

এখন ব্যবসার আয়তনে ছোট রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাঙ্ক-শেয়ার সংগ্রহ করে রাখলে দেখা গিয়েছে, ওই সব ব্যাঙ্কের ব্যবসা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার দরও বাড়ে দ্রুতগতিতে। এই অভিজ্ঞতা বাজারের হয়েছে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং কোটাক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে। এ কথা মাথায় রেখে নজর রাখা যায় আরবিএল, ডিসিবি, আইডিএফসি ইত্যাদির মতো উঠতি ব্যাঙ্ক শেয়ারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement