(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং নির্মলা সীতারামন (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শিল্প-বাণিজ্য মহল কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছিল, এ বছর অবশ্যই যেন সাধারণ মানুষকে আয়করে একটু বেশি ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়। বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে শ্লথ আর্থিক বৃদ্ধিকে ঠেলে তুলতে সেটা জরুরি। সংস্থাগুলির লাভও বাড়বে তাতে। উপকৃত হবে অর্থনীতি। বুধবার উপদেষ্টা গ্র্যান্ট থনর্টন ভারতের সমীক্ষা জানাল, খরচ-খরচা এত বেড়েছে যে, ব্যক্তিগত করদাতারা সেই আশায় বসে আছেন। কর ছাঁটাই, উৎস করের ব্যবস্থা সরল করার মতো পদক্ষেপের দাবি তুলছে মিউচুয়াল ফান্ড বা আবাসন ক্ষেত্রও।
গ্র্যান্ট থনর্টন কথা বলেছে প্রায় ৫০০ জনের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে ৫৭% ব্যক্তিগত আয়করদাতা চান বাজেটে কর কমুক। ২৫% বেশি ছাড় দাবি করেছেন। ৬৩% পুরনো কর কাঠামোয় আরও বেশ কিছু ছাড়ের সুবিধা চালুর পক্ষে। ৭২% নতুন কাঠামো অনুযায়ী কর দেবেন। এতে কর কমানোর দাবি ৪৬ শতাংশের। আর ২৬% বলছেন, করছাড়ের সীমা বাড়ানো উচিত। জমি-বাড়ি খাতে লোকসান এড়াতে ৫৩% করদাতা চেয়েছেন, নতুন কাঠামোয় কিছু সুবিধা চালু হোক।
অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার মতে, কম দামি ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা বাড়াতে আয়করের ২৪বি ধারায় গৃহঋণের সুদে কর ছাড় ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক আবাসনে জিএসটি-র এক হার, নির্মীয়মাণ আবাসনে জিএসটি কমানো, সাধ্যের আবাসনের ক্ষেত্রে নির্মাণ সংস্থাগুলিকে করছাড় দেওয়া আর্জিও জানান তিনি। টাকার দামে পতন, চড়া মূল্যবৃদ্ধি, শ্লথ অর্থনীতির প্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত আয়কর কমানো ও করছাড় বাড়ানোর কথা বলেছেন ট্রাস্ট মিউচুয়াল ফান্ডসের সিইও সন্দীপ বাগলা। মুথুট ফিনান্সের এমডি জর্জ আলেকজ়ান্ডার মুথুটের আবার মত, এ বার ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) এবং সাধারণ লগ্নিকারীদের সাহায্য করার সুযোগ রয়েছে বাজেটে। যেগুলির অন্যতম স্বর্ণঋণ সংস্থাগুলিকে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের তকমা দেওয়া।