বিএসই-র লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। —প্রতীকী চিত্র।
সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারে কাঁপুনি ধরাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-সিদ্ধান্ত। চিন ইতিমধ্যেই আমেরিকার পণ্যে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। অন্যান্য দেশগুলিও সেই পথে হাঁটলে এর জেরে সারা বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। পাশাপাশি, সে দেশে মন্দার আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হওয়ার প্রভাব পড়েছে সূচকে। কারণ, সেটা হলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। চড়বে মূল্যবৃদ্ধি, মাথা নামাবে চাহিদা তথা কাজের সুযোগ।
বুধবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে শুল্ক ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার আমেরিকায় সূচক ডাও জোন্স নামে ১৪০০ পয়েন্টের বেশি। ২০২০ সালে করোনার সময়ের পরে এত বড় পতন দেখেনি বাজার। তার জের শুক্রবার পড়েছে ভারতের বাজারে। এ দিন সেনসেক্স দিন শেষ করে ৯৩০.৬৭ পয়েন্ট নেমে। সূচকটি থামে ৭৫,৩৬৪.৬৯ অঙ্কে। একই ভাবে নিফ্টিও ৩৪৫.৬৫ পয়েন্ট পড়ে থিতু হয় ২২,৯০৪.৪৫ অঙ্কে। বিএসই-র লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
পাশাপাশি পড়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের বাজার। চিন-সহ কিছু দেশে লেনদেন বন্ধ থাকায় প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে বেজিং-এর পাল্টা শুল্কের জেরে এ দিন সন্ধ্যায় আমেরিকায় বাজার খোলার পরে ডাও ১৭০০ পয়েন্ট নেমেছে।
বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়ালের মতে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে শুল্কের প্রভাব যুঝতে হবে আমেরিকাকেও। কারণ, তারা স্বনির্ভর নয়। মনে হয়, শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট শুল্ক সিদ্ধান্তের কিছুটা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু তা না হওয়া পর্যন্ত সূচক অস্থিরই থাকবে।