গত জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে ফের অফিস ভাড়া নেওয়ার চাহিদা ধাক্কা খেয়েছে। প্রতীকী ছবি।
কোভিডকালে বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বাড়ায় অফিসের জন্য জায়গা ভাড়া নেওয়ার চাহিদা কমেছিল বেশ খানিকটা। পরে ব্যবসাপত্তর খোলায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। কিন্তু আবাসন ক্ষেত্রের বিভিন্ন উপদেষ্টা সংস্থার সমীক্ষায় প্রকাশ, গত জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে ফের অফিস ভাড়া নেওয়ার চাহিদা ধাক্কা খেয়েছে।
বাড়ি থেকে কাজের পাশাপাশি বিশ্ব বাজারের অনিশ্চয়তা, ব্যবসা বিস্তারের পথে বাধা এবং সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত রাখাই অফিস ভাড়ায় ভাটার অন্যতম কারণ, দাবি জেএলএল ইন্ডিয়া, কোলিয়ার্স ইন্ডিয়ার মতো উপদেষ্টা সংস্থাগুলির। জেএলএল জানিয়েছে, দিল্লি-রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর), মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও পুণে— এই সাত শহর মিলিয়ে ভাড়া নেওয়ার চাহিদা জানুয়ারি-মার্চে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪% কমেছে। ১.১৫ কোটি বর্গ ফুট থেকে তা নেমেছে ৭৬.৩ লক্ষ বর্গ ফুটে। চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও পুণেতে সরাসরি কমেছে চাহিদা। নতুন ভাড়ার চাহিদা থেকে জায়গা খালি করার পরিমাণ বাদ দিলে, সেই হিসাবে দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় তা কিছুটা বেড়েছে।
কোলিয়ার্স ইন্ডিয়া সমীক্ষা চালিয়েছে ছয় শহরে— দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই, পুণে ও হায়দরাবাদে। তাদের হিসাব, সার্বিক ভাবে অফিস ভাড়ার চাহিদা ১৯% কমে হয়েছে ৯৫ লক্ষ বর্গ ফুট। ফলে কমেছে জোগানও।