—প্রতীকী চিত্র।
অনথিভুক্ত নম্বর বা নাম (হেডার) থেকে গ্রাহকদের মোবাইলে ভুয়ো ও পণ্য প্রচারের টেলি-বিপণন মেসেজ এলেই, ওই নম্বর ও নামকে কালো তালিকায় ফেলে সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। ১ নভেম্বর থেকে নিয়ম চালুর কথা ছিল। কিন্তু টেলি সংস্থাগুলি আরও এক মাস সময় চাইল। তাদের আর্জি, প্রযুক্তি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তার আগে নিয়ম চালু করলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সময়সীমা পিছিয়ে হোক পয়লা ডিসেম্বর। এর আগে তাদের অনুরোধেই পয়লা অক্টোবরের সীমা পিছিয়ে নভেম্বর করা হয়েছিল।
টেলিকম শিল্পের দাবি, কালো তালিকাভুক্তির নিয়ম বলবৎ হলেই ব্যাঙ্কিং, শেয়ার বাজার, ই-কমার্স, বিমা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা সমস্যায় পড়বেন। বিভিন্ন লেনদেনের বৈধতা বিচারের ক্ষেত্রে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) আটকে যেতে পারে। কারণ, প্রয়োজনীয় কিন্তু এখনও নথিভুক্ত হয়নি, এমন মেসেজও ব্লক হবে। তাতে নিয়ম চালুর আসল লক্ষ্যটাই ব্যর্থ হবে। যদিও অন্য অংশের দাবি, তেমন সমস্যা হবে না। কারণ ওটিপি হোয়াটসঅ্যাপ বা সংশ্লিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমেও পাঠানো যায় এখন। সূত্রের খবর, ভুয়ো, টেলি-বিপণন এবং লেনদেন সংক্রান্ত মিলিয়ে সারা দেশে দৈনিক ১৫০-১৭০ কোটি মেসেজ পান গ্রাহক। উল্লেখ্য, ট্রাইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনথিভুক্ত নম্বর কিংবা যে নামে লিঙ্ক, এপিকে বা ইউআরএল ইত্যাদি আসে, তা বন্ধ করতে হবে প্রতারণা রুখতে।