প্রতীকী ছবি।
হালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রাজ্য বণ্টন সংস্থাকে তাদের এলাকার বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয় সরেজমিনে নজরদারি এবং প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্থাটির দাবি, তা মানতে বিভিন্ন কাজ ও তার দায়িত্ব স্পষ্ট করে নির্দেশ জারি করেছে তারাও। সিদ্ধান্ত হয়েছে, রুটিন নজরদারির পাশাপাশি বিভিন্ন পদমর্যাদার টেকনিক্যাল অফিসারেরা এলাকা ঘুরবেন। নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শেষ করার সময়সীমা এক মাস। বৃহস্পতিবার ডিভিসি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বিদ্যুতের তারে দুর্ঘটনা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহ রাজ্যের পাশে থাকার বার্তা দেন।
সম্প্রতি নবান্নে বিদ্যুৎ দফতর, বণ্টন সংস্থা, সিইএসসি, কলকাতা পুরসভা-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। বিদ্যুতের তার এবং মিটার থেকে দুর্ঘটনা এড়ানোর রূপরেখা তৈরি করতে পুলিশ এবং দমকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। স্পষ্ট করা হয় হুকিং রুখতে প্রশাসনের কড়া মনোভাব। বণ্টন সংস্থার ডিরেক্টরের (এইচআর) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, খোলা পড়ে থাকা তার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। যা সংস্থার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে। তাই টেকনিক্যাল অফিসারদের দল ঘুরে দেখবে, হাই টেনশন বা লো টেনশন লাইনে খোলা-ছেঁড়া তার আছে কি না, তারের উপরে গাছ পড়ে কি না, আর্থিং ঠিক আছে কি না, পোল থেকে তার বেরিয়ে কি না, ফিউজ় ইউনিট খোলা কি না, জাংশন বক্সের অবস্থা ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, হুকিং বন্ধ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় বিদ্যুৎ কর্মীদের। প্রশাসনের সহায়তা সব সময় মেলে না। সমস্যা নজরে পড়লেও সরঞ্জামের অভাবে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতি হয় না। তবে এ বার পরিদর্শনের পরে দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেবণ্টন সংস্থা।
পরিদর্শক দল আশঙ্কাজনক কিছু দেখলে স্টেশন ম্যানেজারদের দ্রুত সমস্যা মেটাতে হবে। পরিদর্শনের রিপোর্ট ডিভিশনাল ম্যানেজারদের পাঠাতে হবে। তাঁরা দৈনিক এই কাজের গতিপ্রকৃতি খেয়াল রাখবেন এবং রিজিয়োনাল ম্যানেজারদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট দেবেন। সে সবের সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট পাঠাবেন চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে (ডিস্ট্রিবিউশন)।