ফাইল চিত্র।
বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে দেওয়া বকেয়া ঋণ আদায়ের পথ কিছুটা পরিষ্কার হল স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর সামনে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার লন্ডনের হাই কোর্ট জানিয়েছে, ওই বকেয়া আদায়ের জন্য ভারতের মাটিতে থাকা মাল্যের সম্পত্তিকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আইনের ধারা অনুযায়ী তেমন কোনও সংস্থানও নেই। আগামী ২৬ জুলাই ডিভিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী শুনানি হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, দেউলিয়া বিধি কার্যকর করে মাল্যের সংস্থার ঋণ উদ্ধার করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সে দিনই চূড়ান্ত সওয়াল-জবাব হতে পারে।
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের পরিষেবা দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। ভারতের মাটিতে সংস্থার সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে ঋণ উদ্ধারের চেষ্টা করছে ঋণদাতাদের গোষ্ঠী। তাকে আটকাতে ব্রিটেনের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সি শিল্পপতি। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন সেখানে। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সওয়াল, মাল্য যে পদক্ষেপ করছেন তা মামলাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা মাত্র। কারণ, এই মামলা শেষ পর্যন্ত অবশ্যম্ভাবী ভাবেই দেউলিয়া প্রক্রিয়ার দিকে গড়াবে। শুনানিতে মাল্য দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঋণদাতাদের আইনজীবী মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে বিজয় মাল্যের ইতিমধ্যেই প্রত্যর্পণ হয়ে যাওয়ার কথা। গত বছরের মে মাসেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না।