গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর চাপ বাড়াল মূল্যায়ন সংস্থাগুলি। শুক্রবার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস জানিয়েছে, মূল্যায়ন অপরিবর্তিত রাখলেও আদানি পোর্টস এবং আদানি ইলেকট্রিসিটি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচকে করেছে তারা। এর অর্থ আগামী দিনে মূল্যায়ন কমার আশঙ্কা। মুডি’জ় ইনভেস্টরস সার্ভিসের বক্তব্য, শেয়ার দরের পতন আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির পুঁজি সংগ্রহের ক্ষমতাকে ধাক্কা দেবে। ফিচ রেটিংসের অবশ্য বার্তা, মূল্যায়নে এখনই কোনও বদল না হলেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তারা।
আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে আদানিদের শেয়ারে ধস নেমেছে। প্রভাব পড়েছে ঋণপত্রের দামেও।
এ দিন এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে, তারা আদানিদের যে মূল্যায়ন দিয়েছে, সংস্থার পরিচালন ব্যবস্থা সম্পর্কে লগ্নিকারীদের উদ্বেগ তার নিরিখে অনেকটাই বেশি। বাজারের এই পরিস্থিতি তাদের মূলধন সংগ্রহকে কঠিন করবে এবং তার খরচ বাড়াবে। সে কারণেই দুই সংস্থা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি কমাচ্ছে তারা। তবে সংস্থাগুলির ব্যবসার ভিত পোক্ত হওয়ায় মূল্যায়ন অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে।
মুডি’জ়ের বিবৃতি, ‘‘আদানি গোষ্ঠীর যে সমস্ত সংস্থা রেটিংয়ের আওতায় রয়েছে তাদের আর্থিক অবস্থার দিকে নজর রাখছি আমরা।’’ তাদের বক্তব্য, আদানি পোর্টস, আদানি গ্রিন, আদানি ট্রান্সমিশনের নগদের অবস্থা এবং বাজারের দখল সন্তোষজনক। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি মূলধনী খরচ এবং আগামী এক-দু’বছরের জন্য ঋণ শোধের জন্য পুঁজি সংগ্রহের ক্ষমতাকে ধাক্কা দিতে পারে। ফিচ অবশ্য জানিয়েছে, এখনই আদানি গোষ্ঠীর মূল্যায়নে প্রভাব পড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে সংস্থাগুলির পুঁজি ও তা সংগ্রহের খরচের দিকে তাদের নজর থাকবে।