তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। ফাইল চিত্র।
রান্নার গ্যাস ও পরিবহণ জ্বালানির দর নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার সেই আক্রমণ ফের কংগ্রেসের কোর্টেই ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তাঁর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের উঁচু দামকে কৃত্রিম ভাবে আটকে রাখার জন্য ঋণপত্রের (অয়েল বন্ড) মাধ্যমে টাকা তুলেছিল ইউপিএ সরকার। সেই বাবদ ১.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মেটানো বাকি। ফলে কমেছে তেল সংস্থাগুলির আর্থিক স্বাধীনতা। আর এর দায় পুরোটাই এসে পড়েছে এখনকার সরকারের কাঁধে।
ইদানীং যৎসামান্য কমলেও দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম এখনও যথেষ্ট উঁচুতে। বিরোধীদের অভিযোগ, মাঝে বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেল ৬৫ ডলারে নামলেও তার সুফল পাননি সাধারণ মানুষ। অতীতেও ওই দাম যখনই কমেছে, তখনই উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। আবার গত দু’সপ্তাহের মধ্যে গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দাম দু’দফায় ৫০ টাকা বেড়েছে। ফলে অতিমারির সময়েও কোনও দিক দিয়েই সুরাহা হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। কেন্দ্র অবশ্য এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েও রাজ্যগুলিকে কর কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। দাবি করেছে, তেলের উৎপাদন শুল্ক থেকে রাজকোষে আসা অর্থ দিয়েই করোনা মোকাবিলা হচ্ছে।
এ দিন পুরী টুইটারে দাবি করেছেন, ইউপিএ সরকার পরবর্তী সরকারের কাঁধে অয়েল বন্ডের বকেয়ার দায় চাপিয়েছে। এখনও ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মেটানো বাকি। কংগ্রেস সরকারের আমলে অর্থের অভাবে তেল উত্তোলন এবং উৎপাদনও ধাক্কা খেয়েছিল। ফলে বেড়েছে তেলের আমদানি খরচ। কংগ্রেস অবশ্য আগেই দাবি করেছে, গত সাত বছরে তেলের উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে ২৩ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে কেন্দ্র। তেল বন্ডের বকেয়া সেই তুলনায় সামান্যই।