—প্রতীকী চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে বাজারে যেমন ধস নেমেছিল, এ বার এখনও তেমনটা হয়নি। ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইনের ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ ঘিরে সংঘাতের প্রাথমিক অভিঘাতে শেয়ার সূচক কেঁপে উঠেছিল বটে, কিন্তু বড় পতন ঘটেনি। গোলাবর্ষণ শুরু করে প্যালেস্টাইনের মদতপুষ্ট হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। পাল্টা জবাবে ইজ়রায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে পশ্চিম এশিয়া অশান্ত। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সেনসেক্স নেমেছিল ২৭০২ পয়েন্ট। কিন্তু গত সপ্তাহে উঠেছে ২৮৭। তবে বিভিন্ন দেশ যে ভাবে যুযুধান দু’পক্ষের সমর্থন ও বিরোধিতায় ভাগ হচ্ছে, তাতে এর পর কী হবে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
বাজারে বড় পতন না হওয়ার প্রধান কারণ দেশীয় অর্থনীতির জন্য ভাল কিছু খবর। এর মধ্যে রয়েছে—
জুলাই-সেপ্টেম্বরের আর্থিক ফল প্রকাশ করছে সংস্থাগুলি। ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন আশার বাণী না শোনালেও, আয় ও লাভ বেড়েছে টিসিএস ও ইনফোসিসের। ২০% মুনাফা বেড়েছে এইচডিএফসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিরও। চলতি সপ্তাহে বেরোবে আরও কিছু ফল। বাজার তাকিয়ে সেই দিকে।
তবে দুশ্চিন্তা বাড়ানোর মতো বিষয়ও রয়েছে সামনে। যেমন—
বাজার বেশ কিছু দিন ধরে তেজি থাকায় ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় থাকবে এই আশায় লগ্নি বেড়েই চলেছে শেয়ার ভিত্তিক ফান্ডে। সেপ্টেম্বরের শেষে ফান্ডগুলিতে মোট সম্পদ ৪৬.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১৫.৭১ কোটিতে।
(মতামত ব্যক্তিগত)