প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা থেকে দেশের অর্থনীতিকে বার করে আনতে দিন চারেক আগে তৃতীয় ত্রাণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সরাসরি আর্থিক সাহায্যের দাওয়াই না-থাকায় এ দফাতেও বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। এই প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের বক্তব্য অবশ্য অন্য। তাদের মতে, বৃদ্ধির চাকায় গতি আনার কিছু রসদ এই প্রকল্পে রয়েছে। কিন্তু পরিষ্কার নয় তার আর্থিক অঙ্ক। ফলে রাজকোষ ঘাটতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ব্রোকারেজ সংস্থা মতিলাল অসওয়ালের দাবি, এই প্যাকেজের ফলে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের বাড়তি ১.১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। যা দেশের জিডিপি-র ০.৫%।
২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় ২৩.৯% কমেছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের মতে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও তা ৮.৬% কমে থাকতে পারে। এই অবস্থায় নতুন কর্মসংস্থানে উৎসাহ, আবাসনে আয়কর ছাড়, গ্রামীণ রোজগার, সারে ভর্তুকি-সহ প্রায় ১২টি ক্ষেত্রে বাড়তি খরচের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, তিনটি ত্রাণ প্রকল্পের প্রভাবে তৃতীয় ত্রৈমাসিক থেকে বৃদ্ধির মুখ দেখবে দেশের অর্থনীতি। বাড়বে চাহিদা, বিক্রিবাটা।
ফিচ-ও জানিয়েছে, এ বারের প্যাকেজ বৃদ্ধিকে মাথা তুলতে সাহায্য করতে পারে। তবে তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচের কথা বললেও বাড়তি কত টাকা ধার করতে হবে তা পরিষ্কার করেনি। ফলে চলতি অর্থবর্ষে বিভিন্ন খাতের বাজেট বণ্টন বদলাতে হতে পারে কেন্দ্রকে।