রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন চিনা সংস্থা, মূলত বেআইনি ভাবে ভারতে ঋণদানকারী অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে বহু দিন ধরেই কড়াকড়ি করছে সরকার। এর আওতায় তাদের একাংশের বিরুদ্ধে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তদন্তের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানালেন এক সরকারি কর্তা। সম্প্রতি তিনি বলেন, ওই সমস্ত অ্যাপে কোনও জালিয়াতি হয়েছে কি না, তা-ই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অপরাধ তদন্তকারী সংস্থাও (এসএফআইও) বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ওই সরকারি কর্তা জানান, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রক। কিছু ক্ষেত্রে সেগুলির টাকার সূত্র পাওয়া মুশকিল জানিয়েও তাঁর দাবি, এ জন্য ওই সমস্ত অ্যাপের মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই ধরনের একটি ঘটনায় জানুয়ারিতে দিল্লির রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল এবং হরিয়ানার রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ় একটি ভারতীয় সংস্থা ও তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপরে ২১ লক্ষ টাকার জরিমানা চাপিয়েছে।
ভুয়ো অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নাম করে প্রতারণা নিয়ে বহু দিন ধরেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এর ফাঁদে পা দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের অ্যাপগুলিকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। মানুষকে সতর্ক করেছে। জানিয়েছে, এ নিয়ে নিয়মিত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক এবং তাদের পরিষদে (এফএসডিসি) আলোচনার কথা। সেই সঙ্গে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে সরকার বলেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অগস্ট পর্যন্ত নিজেদের প্লে স্টোর থেকে ২২০০টি ভুয়ো ঋণদাতা অ্যাপ মুছেছে গুগ্ল। ডিজিটাল মাধ্যমে ঋণদানের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম জারি করেছে আরবিআই-ও।