প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
ভারতকে দূষণহীন জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। এ বার ওই পণ্যের দাম নির্ধারণের নতুন সমীকরণে সম্মতি দিল তারা। এর ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদিত পরিবহণ জ্বালানি (সিএনজি) এবং পাইপবাহিত রান্নার গ্যাসের (পিএনজি) দাম ১০% পর্যন্ত কমতে পারে বলে দাবি সরকারের।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, পুরনো ক্ষেত্রগুলি থেকে উৎপাদিত গ্যাসের দাম ঠিক হবে আমদানিকৃত অশোধিত তেলের দামের নিরিখে। বিভিন্ন সূত্র থেকে ভারত যে তেল আমদানি করে তার দামের ১০% পর্যন্ত হতে পারবে সেই দাম। যদিও তার ঊর্ধ্বসীমা প্রতি ১০ লক্ষ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে ৬.৫ ডলারের বেশি হবে না। ন্যূনতম দাম হবে ৪ ডলার। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, অশোধিত তেলের এখনকার দাম অনুযায়ী প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোচ্চ দাম ৮.৫৭ ডলার হওয়ার কথা। কিন্তু নতুন শর্তে সেই দাম ৬.৫ ডলারই হবে। এখন আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়ার মতো গ্যাস উদ্বৃত্ত দেশের দাম অনুযায়ী ভারতে বছরে দু’বার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম স্থির হয়। এ বার থেকে তা হবে প্রত্যেক মাসে। নতুন ও দুর্গম ক্ষেত্রগুলি থেকে উৎপাদিত গ্যাসের দাম নির্ণয়ের পদ্ধতি অবশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ দিনের সিদ্ধান্তে দিল্লিতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৯.৫৬ টাকা থেমে কমে হচ্ছে ৭৩.৫৯ টাকা। হাজার ঘন মিটার পিএনজি ৫৩.৫৯ টাকা থেকে ৪৭.৫৯ টাকায় নামছে।