আর্থিক বৃদ্ধির হারে চিনকে টপকে প্রথম স্থানে ভারত।ছবি:এপি।
আর্থিক বৃদ্ধির হারে চিনকে টপকে প্রথম স্থান আগেও দখল করেছে ভারত। আগামী দশকেও তারা সেই সাফল্যের পথেই হাঁটবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা এই ইঙ্গিতই দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (সি আই ডি) তার সমীক্ষায় দাবি করেছে, দ্রুততম বৃদ্ধির দেশগুলির মধ্যে শীর্ষ স্থান ভারতেরই দখলে থাকবে ২০২৫ সাল পর্ষন্ত. গড় বৃদ্ধি হবে বার্ষিক ৭.৭%। তারা জানিয়েছে, ‘‘বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির ভর-কেন্দ্র গত কয়েক বছর ধরেই চিন থেকে সরে গিয়েছে ভারতে। আগামী দশকে সেখানেই তা থাকার সম্ভাবনা।’’
জানুয়ারি থেকে মার্চের হিসেবে অবশ্য ভারতের জাতীয় আয় বেড়েছে ৬.১% হারে, যা গত দু’বছরের বেশি সময়ে সবচেয়ে কম। চিনের অর্থনীতি একই সময়ে এগিয়েছে ৬.৯% হারে। সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান এই তথ্য জানিয়েছে। নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তেরই ছাপ বৃদ্ধিতে পড়েছে বলে ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞদের।
তবে ভবিষ্যৎ সাফল্যের ইঙ্গিত দিয়েছে হার্ভার্ডের সমীক্ষা। ইতিমধ্যেই প্রথম সারিতে উঠে আসার কারণও চিহ্নিত করেছে তারা। সিআইডি-র মতে, সেই তালিকায় রয়েছে:
• রফতানির ক্ষেত্র আরও ছড়ানো, যাতে নতুন পণ্য তার আওতায় আসে। এগুলির মধ্যে আছে, রাসায়নিক, গাড়ি ও বেশ কিছু বৈদ্যুতিন পণ্য
• রকমারি পণ্য উৎপাদনে জোর, যেগুলির হাত ধরে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বৃদ্ধিকে
• কর্মী-দক্ষতা বাড়িয়ে নতুন পণ্য তৈরিতে তাদের উপযুক্ত করে তোলা
এই পথে যে-সব দেশ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে আসছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা কেন্দ্র সেই তালিকায় ঠাঁই দিয়েছে ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, উগান্ডা ও বুলগেরিয়াকে। বিপরীত দিকে তেল নির্ভর অর্থনীতিগুলির প্রসঙ্গ টেনে এনে ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, একটি সম্পদের ওপর নির্ভর করাতেই পিছিয়ে পড়ছে তারা।